বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর যারা ক্ষমতায় বসেছিলো তারা আওয়ামীলীগের একটি অংশ ছিলো।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার পরিষদ মিলনায়তনে আদিতমারী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দুলু তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পালিয়ে গিয়েছিলো। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। বিএনপি হচ্ছে জনবান্ধব রাজনৈতিক দল, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা সব সময় কাজ করি। জনগণ যা ভাবে বিএনপি সেটাই ভাবে। কিন্তু বাংলাদেশে একটি দল রয়েছে শুধু এই ১৭ বছর নয় স্বাধীনতা পরবর্তীকালে একবার ক্ষমতায় এসেছিল তখনো মানুষকে নিষ্পেষিত করেছে, অত্যাচার করেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিল।
দুলু আরও বলেন, যে শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন গণতন্ত্রের লড়াই করেছিলেন। সেই শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে হাসিব আদিরূপ ধারণ করেছিলো। বাংলাদেশের মহান পার্লামেন্টে ১৩ মিনিটের অধিবেশনে গণতন্ত্রকে হত্যা করে দিয়েছিলেন। উনি বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল রাখেননি। তিনি বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের মানুষের ছিল সেটাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বাকশাল কায়েমের পর রক্ষী বাহিনী নামের আওয়ামীলীগের একটি বাহিনী গঠন করা হয়েছিলো। সেই বাহিনী সারাদেশের গণতন্ত্রকামী ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলো। আওয়ামীলীগের লোকেরা বলতো, এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। কিন্তু এক রাতে সব শেষ।
এই পরিণতির জন্য আওয়ামীলীগ নিজেই দায়ী। তারা যদি সেদিন বাকশাল কায়েম না করে গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতো তাহলে শেখ মজিবুর রহমানের এমন মৃত্যুর কোনো কারণ হত না। কারা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছিলেন বলেও প্রশ্ন রাখেন দুলু। তিনি বলেন শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা আওয়ামীলীগেরই একটি বড় অংশ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে দুলু বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোষ করেননি। তিনি গণতন্ত্রের মা। বিএনপি গণতন্ত্রের জন্যই লড়াই করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার আহ্বানও জানান তিনি।
সকাল থেকে শুরু আদিতমারী উপজেলা বিএনপির প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভার সময় লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আদিতমারী উপজেলার বিএনপি ও বিএনপির সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/এসএন