ভারতে ক্রমশই তীব্র আকার ধারণ করছে করোনাভাইরাস। কোভিড-১৯ মহামারিতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত ভারতে ২ হাজার ৭১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সময়ে মারা গেছে অন্তত ২২ জন।
ভারত সরকারের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ভারত সরকারের দেওয়া এক তথ্য অনুসারে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ১৯৯ জন। আজ শনিবার (৩১ মে) ৫১১ জন বেড়ে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১০ জনে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই এক দিনে বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২-এ।
নতুন করে সংক্রমণের এই ধারায় এগিয়ে আছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালা। রাজ্যটিতে মোট ১ হাজার ১৪৭ জন কোভিডে আক্রান্ত।
রাজ্যটিতে নতুন করে ২২৭টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ৪২৪।
রাজ্যটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ৫৬টি নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৪ জনে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৫ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বা অন্য কোথাও চলে গেছেন। ১লা জানুয়ারি থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৭০ জন। আর সর্বশেষ এক দিনে কেরালায় ৭২, দিল্লিতে ৭৭ এবং মহারাষ্ট্র ৩৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে সর্বশেষ মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই দুজন। ৬৭ বছর বয়সী এক পুরুষ রোগীর এআরডিএস, বাম ফুসফুসের নিউমোনিয়া এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো অন্যান্য অসুস্থতা ছিল। তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। মারা যাওয়া অপর ব্যক্তি ২১ বছর বয়সী পুরুষ।
তিনি ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস এবং নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছিলেন।
এদিকে তামিলনাড়ুতে মারা যাওয়া ৬০ বছর বয়সী পুরুষের টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ ছিলো। কর্ণাটকে মারা যাওয়া ৭০ বছর বয়সী পুরুষের তীব্র কার্ডিও-রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি রোগে ভুগছিলেন। দিল্লিতে ৬০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে গুজরাটে একজনের মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হলেও সে ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পাঞ্জাবে ৩৯ বছর বয়সী একজন পুরুষ মারা গেছেন, যার হেপাটাইটিস-বি এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিনড্রোম ছিলো বলে জানা গেছে।
এদিকে ভারতের মধ্যে কেরালায় সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হলেও সেখানে এখনো কোনো মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়নি। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মৃত্যুর পরিসংখ্যানের সমন্বয় সাধন প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
আরএম/এসএন