অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। শুক্রবার (৩০ মে) আসিফ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এ তথ্য জানান।
গুগল পে কী, কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে?
‘গুগল পে’ গুগলের মোবাইল পেমেন্ট প্লাটফর্ম। যা গুগলই তৈরি করেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ট্যাবলেটস এবং ঘড়িতে ‘গুগল পে’ থাকলে সেটির মাধ্যমে সরাসরি দোকানে অথবা অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়।
‘গুগল পে’ একটি ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবেও কাজ করে। কোথায় কোন জায়গায় কবে কিসে পেমেন্ট করা হয়েছে তার সব তথ্যই এখানে নিরাপদভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এই ওয়ালেটে রাখা যায় পেমেন্ট কার্ড, লয়ালিটি কার্ড, গিফট কার্ড এবং টিকিটের তথ্য। যা প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া ‘গুগল পে’র মাধ্যমে ‘নিয়ার-ফিল্ড কমিউনিকেশন’ বা স্বল্প দূরত্বের তারবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। এটি মূলত সরাসরি দোকানে গিয়ে কেনাকাটার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অপরদিকে অনলাইনে ‘গুগল পে’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট থেকে সহজে কেনাকাটা করা যায়। এতে বারবার পেমেন্টের মাধ্যম নির্বাচন করতে হয় না।
‘গুগল পে’ কিছু অঞ্চলে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের কাছে অর্থ আদান-প্রদান করার সুযোগও দেয়।
এটির নিরাপত্তাও বেশ ভালো। ‘গুগল পে’ এর মাধ্যমে যেসব পেমেন্ট করা হয় সেগুলো পিন নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং বায়োমেট্রিক নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে।
গুগল পে ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম এবং গুগল প্লে স্টোরের সঙ্গে একীভূত।
গুগল পে-তে অর্থ যুক্ত করা যাবে কীভাবে?
‘গুগল পে’ ব্যবহার করে কেনাকাটা করার জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ড-ডেভিড কার্ড অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে যুক্ত করতে হবে। কীভাবে যুক্ত করতে হবে সেটি অ্যাপসে গিয়ে নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।
আরআর