জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে এনসিপি ১৮ কোটি মানুষের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, "আমরা জনগণের দাবির ভিত্তিতে একটি নতুন সংস্কার রূপরেখা তৈরি করেছি, যা খুব শীঘ্রই লিফলেট ও বুকলেট আকারে প্রকাশ করা হবে।"
নাসিরউদ্দীন বলেন, "ক্ষমতার লোভে আপনারা বেহুঁশ হয়ে গেছেন। এই বেহুশ অবস্থা থেকে হুঁশে ফেরার জন্য আমরা এখনো আপনাদেরকে সাবধান করছি।"
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশ আরও গভীর সংকটে নিপতিত হবে।
নাসিরউদ্দীন অভিযোগ করেন, "স্ট্রাক কেসের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা যখন কমিশনের প্রধানের অপসারণ এবং একটি সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়েছিলাম, তখন যারা বাধা দিয়েছিল, জনগণ এখনো তা মনে রেখেছে।"
তিনি বলেন, "সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জাতির প্রতি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা হবে। আপনি সংসদে যাওয়ার জন্য যদি জনস্বার্থের সঙ্গে আপস করেন, একদিন আপনার সন্তান আপনাকে গালি দিয়ে বলবে— ‘তুমি আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছো।’"
নাসিরউদ্দীন আরও বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে আর কোনো বংশীয় বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির স্থান থাকবে না। যারা ক্ষমতার দম্ভে জনগণকে ভুলে গেছেন, তাদের হুঁশ ফেরানোর জন্য আমরা এখনো সুযোগ দিচ্ছি।"
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, কেবল ব্যক্তিবদল নয়, পুরো নির্বাচন কাঠামোর মৌলিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আপনারা জনগণের কাছে যান, তাদের কথা শুনুন। তাহলেই হুঁশ ফিরবে। না হলে দেশের তরুণ প্রজন্ম আরেকটি বিপ্লবের সূচনা করতে বাধ্য হবে।"
আরআর
