অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন। এ নিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ জনে।
শনিবার (৩১ মে) বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাতূাসংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের টানা হামলায় অন্তত ৫৪ হাজার ৩৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে আরও ৬০টি লাশ পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরও ২৮৪ জন, যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তি হয়েছিল, তা ১৮ মার্চে বাতিল করে ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থলপথে হামলা আরও তীব্র হয়।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা বলছে, গাজার মানুষদের না খাইয়ে রেখে এবং চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিস্ময়কর মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গাজা উপত্যকা।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।
আরএ/এসএন