ঢাকায় চীনা দূতাবাস ঘোষণা করলো একটি বিশেষ ভিসা প্রক্রিয়া ‘গ্রীণ চ্যানেল’। চিকিৎসার জন্য ভিসা পেতে এখন আর লাগবে না অসংখ্য কাগজপত্র বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন।
অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমেই মিলবে ব্যাংক সার্টিফিকেট ও গ্যারান্টি পত্র। চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি থাকলে এক দিনেই পাওয়া যাবে ভিসা। চীনের দূতাবাস এমনকি আলাদা মেডিকেল কাউন্টার স্থাপন করেছে ভিসা সেন্টারে। জরুরি রোগীদের জন্য রয়েছে এক দিনেই ভিসার সুবিধা। অনলাইনে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে যা ছিলো এক সময় অকল্পনীয়।
বাংলাদেশীদের চিকিৎসা ভ্রমণ ভারতের জন্য ছিলো বিশাল অর্থনৈতিক লাভের উৎস। শুধু দিল্লী, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু নয়, কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, হোটেল, ফার্মেসি, রেস্টুরেন্ট, এমনকি ট্যাক্সিচালক পর্যন্ত নির্ভর করতেন এই বাংলাদেশী স্বাস্থ্য অর্থনীতির ওপর। প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ বাংলাদেশি রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতেন।
প্রতিজনের পেছনে গড়ে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হতো। হিসেব করে দেখা গেছে শুধুমাত্র এই চিকিৎসা পর্যটন থেকেই ভারত পেতো প্রায় ৮-১০ হাজার কোটি টাকার বাজার। কিন্তু অভিমানে ভারতের ভিসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যেন হয়ে দাঁড়ালো এক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। আজ সেই অর্থও ভারত হারাচ্ছে। কেবল হারাচ্ছে না একের পর এক হাসপাতাল হেল্প ডেস্ক, বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য। বন্ধ হচ্ছে হাসপাতালগুলোর ঢাকাস্থ অফিস। ধীরে ধীরে ফিঁকে হয়ে যাচ্ছে এক সময়ের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংযোগ।
এসএম