বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিমান পরিষেবা দেয়া সংস্থা ‘টার্কিশ টেকনিক’ এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছে ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। জাতীয়তাবাদী আবেগকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের বিমান সংস্থাটি।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ও এমডি ক্যাম্পবেল উইলসন বলেন, ‘যদি এইভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো উদ্বেগ থাকে, তবে আমরা বিকল্প খুঁজে বের করব।’
তিনি বলেন, ‘টার্কিস টেকনিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে তৈরি এয়ার ইন্ডিয়া। আমরা জনসাধারণের ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এর আগে তুরস্কের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিল ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরেই আগামী তিন মাসের মধ্যেই তুর্কির বিমান সংস্থার সঙ্গে ‘লিজ চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দেয় ইন্ডিগো।
ইন্ডিগোর ৪০০টি বিমানের মধ্যে মাত্র দু’টি তুরস্কের এয়ারলাইন্স থেকে লিজ নেয়া। তবে প্রয়োজনে সেই চুক্তি বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স।
টার্কিস সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উইলসন বলেন, ‘আমাদের কিছু উড়ানের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সমাপ্ত। এর সঙ্গে কিছু উড়ানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিকল্প কোম্পানির কথা ভাবা হচ্ছে।’
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭ উড়ানের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামতের কাজ বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কিছু বিমান আবুধাবি এবং সিঙ্গাপুরেও পাঠানো হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে টার্কিস সংস্থার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ভারতীয় মালিকানাধীন বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায়, উত্তর আমেরিকায় এয়ার ইন্ডিয়ার কিছু বিমানকে বিভিন্ন, দীর্ঘ রুটে পরিচালনা করতে হচ্ছে। কিছু নন-স্টপ পরিষেবা এখন বিমানে জ্বালানি ভরার জন্য এক-স্টপ ফ্লাইটে পরিণত হয়েছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের ওই সংঘাতে ইসলামাবাদ তুরস্কের তৈরি ড্রোন দিয়ে ভারতে হামলা চালায়। ভারত সরকার মনে করে, পাকিস্তানের প্রতি আঙ্কারার সমর্থনের কারণে তুর্কি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ‘স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা’ করার কোনো মানে হয় না।
আরআর/এসএন