সরকার নোবেল পুরস্কারসহ ১০ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে করমুক্তির বিধান আনতে যাচ্ছে। এ ছাড়াও বিদেশি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পুরস্কারও করমুক্ত থাকবে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভি এবং অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
নোবেল পুরস্কার ছাড়াও যেসব পুরস্কার করমুক্ত সুবিধার তালিকায় রয়েছে সেগুলো হলো— র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, বুকার পুরস্কার, পুলিৎজার পুরস্কার, সিমন বলিভার পুরস্কার, অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, এমি অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব ও কান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড।
বিদ্যমান আয়কর আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে কোনো আয় যদি রেমিট্যান্সের শর্ত মেনে দেশে আনা হয়, সেক্ষেত্রে তা করমুক্ত। কিন্তু আলোচ্য বিদেশি পুরস্কারের ক্ষেত্রে কেউ যদি দেশে থেকে ওই পুরস্কারপ্রাপ্ত হন, সেক্ষেত্রে আইনে কিছু বলা নেই। আইনে এ বিষয়ে কিছু বলা না থাকায় দেশে থেকে কেউ কোনো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়ে ওই অর্থ দেশে আনলে এর ওপর স্বাভাবিক হারে ট্যাক্স হবে। কিন্তু নতুন করে আইনে বিষয়টি স্পষ্ট করার ফলে নোবেল পুরস্কারসহ আলোচ্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে ট্যাক্স হবে না, যদি তিনি দেশে থেকেও ওই পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা। এবারের বাজেট উপস্থাপনে সংসদ না থাকায় কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জনমত নেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে, আর সেই মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
চূড়ান্তকরণের পর যেকোনো একদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আরএ/টিএ