চট্টগ্রামের ট্রেন দুর্ঘটনায় মামলা, তদন্ত শুরু

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করবে রেলওয়ে পুলিশ। তবে পরবর্তী সময়ে নিহতদের স্বজনরা অভিযোগ করলে মামলার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
শুক্রবার দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আপাতত আমরা অপমৃত্যু মামলা করব। তারপর ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগ করলে মামলা করা হবে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস। ট্রেনটি সেতুতে আটকে থাকা কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে দুটি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় সেতুর ওপর একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঠিক তখনই কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতুর দিকে এগিয়ে আসে। নিয়ম অনুযায়ী, লাইনম্যানের সংকেত নিয়ে ট্রেন সেতুতে ওঠার কথা থাকলেও চালক তা মানেননি। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের বরাতে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেলেও পরে দুই বছরের শিশু আয়েশা ও মোহাম্মদ তুষার নামে দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া, আহত পাঁচজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার (ট্রেন চালক) গোলাম রসুল, সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ এবং গার্ড সোহেল রানা পালিয়ে যান। তাদের পরিবর্তে নতুন তিনজনকে নিয়ে বিলম্বে ট্রেনটি গন্তব্য ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রেন চালকসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কার দায় কতটুকু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫ দফা দাবিতে ঢাকায় জামায়াতসহ ৮ দলের সমাবেশ দুপুরে Nov 11, 2025
img
গাজায় ত্রাণ আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল, জাতিসংঘের অভিযোগ Nov 11, 2025
img
দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর Nov 11, 2025
img
সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে ৭ দফা নির্দেশনা জারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের Nov 11, 2025
img
সাজতে ভালবাসি, নিন্দা করুক কেউ: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় Nov 11, 2025
img
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি স্থগিত করল থাইল্যান্ড Nov 11, 2025
img
বিশ্বের সবাই ট্রাম্পকে ভয় পায়, আমি পাই না: জেলেনস্কি Nov 11, 2025
img
ধর্মেন্দ্র’র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে Nov 11, 2025
img
ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন তাসনিম জারা Nov 11, 2025
img
যা ভাগ্যে লেখা, সেটাই ঘটে: কারিশমা কাপুর Nov 11, 2025
img
মাঝে মাঝে ভেঙেছি, তবু থামিনি: পার্থ বেরা Nov 11, 2025
img
শেখ হাসিনা তো ভারতে পালিয়েছেন, তারেক পালাবেন কোথায়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Nov 11, 2025
img
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নতুন নির্দেশনা Nov 11, 2025
img
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে Nov 11, 2025
img
ফ্রান্সের দল থেকে ছিটকে গেলেন মুয়ানি Nov 11, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান চতুর্থ Nov 11, 2025
img
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ২ Nov 11, 2025
img
শুভশ্রীর সম্মান যেন নষ্ট না হয়: দেব Nov 11, 2025
img
১১ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে কী ঘটেছিল Nov 11, 2025
img
পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী হাওয়া, তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে Nov 11, 2025