ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমান। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয় বিমানের সব আরোহী মারা গেছেন। এছাড়া আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনারও জানান, কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।
তবে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে একজন বেঁচে গেছেন। এমনকি তাকে হাঁটতেও দেখা গেছে।
এনডিটিভি বলেছে, ওই ব্যক্তি বিমানের ১১এ আসনের যাত্রী ছিলেন। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট এবং কালো রঙের ট্রাউজার্স। তার টি-শার্টে রক্তের ছোপ দেখা যাচ্ছে।
আহমেদাবাদ পুলিশই ওই ব্যক্তির বেঁচে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিমানটি পাখির আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে
ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে বিমানটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এ বিমানটি সেখানকার একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে।
বিমান চলাচল বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিতে নিতে পারেননি পাইলট।
সাবেক ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর নামের এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “প্রথমত মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়।
উড্ডয়নটি নিখুঁত ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি উপরে তোলার আগেই বিমানটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ হারিয়ে ফেলে। তদন্তে আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উড্ডয়নটি বেশ সুন্দরভাবে হয়েছিল। এছাড়া বিমানটিও নিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে নেমে আসে। পাইলট মে ডে কল করেছিলেন। যার অর্থ ওই সময় জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।”
আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমাবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। এর কয়েক মিনিট পরই এটি আছড়ে পড়ে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। যারমধ্যে ২৩০ জন সাধারণ যাত্রী। আর বাকি ১২ জন ছিলেন ক্রু।
এক যাত্রী বেঁচে যাওয়ায় এখন মৃত্যুর সংখ্যা একজন কমে আসবে।
সূত্র: এনডিটিভি
আরএম/এসএন