ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে এক ব্রিটিশ নাগরিক অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এবং পরবর্তীতে বেঁচে যাওয়ার ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বেঁচে যাওয়া রমেশের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যটিকে বলেন, বিমানটি উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পর একটি বিকট শব্দ হল এবং তারপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেল।
বিশ্বাস কুমার রমেশ জানান, যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন আমার চারপাশে ছিল মৃতদেহ। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি উঠে দৌঁড় দিলাম। আমার চারপাশে বিমানের টুকরো পড়ে ছিল। কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কয়েক দিনের জন্য ভারতে এসেছিলাম। আমার ভাই বিমানের অন্য সারিতে বসে ছিল। আমি তাকে আর খুঁজে পাচ্ছি না। দয়া করে তাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন।
এদিকে, রমেশকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট এবং কালো রঙের ট্রাউজার্স। তার টি-শার্টে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া মুখ ও কপালে রয়েছে জখমের চিহ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ কুইকজেট সিরিজের ফ্লাইটটি।
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এরমধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডীয় নাগরিক, সাতজন পর্তুগালের নাগরিক, দুজন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই মারা গেছেন।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে তিনি লিখেছেন, আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক করে দিয়েছে, দু:খিত করেছে। এটা কতটা হৃদয়বিদারক, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই দুঃখের মুহূর্তে, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আরএম/এসএন