ব্রিটেনে বৈধতা পেতে পারেন ১ লাখ বাংলাদেশি

ব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাসরত এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী বৈধভাবে বসবাসের একটি সুযোগ পেতে পারেন বলে নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশ্বাস দিয়েছেন।

বৃহস্প‌তিবার হাউস অব কমন্সে এ বিষয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক জানতে চান, অবৈধদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে বৈধতা দেয়া হবে কী না?

জবাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, আগের সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক।

লন্ডনের মেয়র থাকাকালে বরিস জনসন ব্রিটেনে বসবাসকারী ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা বলছেন, এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি রয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

২০০৯ সালে মেয়র থাকাকালে বরিস জনসন বলেছিলেন, ১০ বছরের বেশি সময় যারা অবৈধভাবে ব্রিটেনে আছে, তাদের বৈধতা দিলে একদিকে বৈধ শ্রমিক মিলবে অন্যদিকে সরকার ট্যাক্সও পাবে। এতে দুই পক্ষই লাভবান হবে।

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রিটিশ এমপি রুপা হক বলেন, ‘এখন তো আপ‌নি প্রধানমন্ত্রী, এখন কি অনথিভুক্তদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে আপনি প্রমাণ করবেন যে আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল রয়েছে?’

এ প্রসঙ্গে বরিস জনসন বলেন, ‘এটা সত্যি। আমি সরকারে থাকাবস্থায় বিষয়টি কয়েকবার উত্থাপন করেছি। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উত্থাপন করলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি।’

বরিস জনসন বলেন, ‘কোনো অপরাধে না জড়িয়ে বছরের পর বছর ধরে যারা এখানে বসবাস করছেন আমার মনে হয় আইনিভাবে তারা সঠিক অবস্থানেই আছেন। আমি রুপা হকের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে চাই। হ্যাঁ, আমি মনে করি, যারা এ দেশে বছরের পর বছর কোনো অপরাধে না জ‌ড়িয়ে বসবাস করছে, কাজ করছে কিন্তু ট্যাক্স দিতে পারছে না, তা‌দের বিষয়টি দেখা উচিত। সত্যি বলতে আইন ইতোমধ্যেই তাদের থাকার অধিকার দিয়েছে। রুপা হক যেই নীতির কথা বলছেন তার আগে, তাদের সাধারণ ক্ষমা দেয়ার আগে আমাদের অর্থনৈতিক সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে।’

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on:

সর্বশেষ