ইরানের রাজধানী তেহরানের বাসিন্দাদের শারীরিকভাবে কোনও ক্ষতি করার ইচ্ছা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ওই মন্তব্য করেছেন তিনি।
যদিও এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ইসরায়েলিদের ওপর ইরানের হামলার জন্য তেহরানের বাসিন্দাদের ‘‘মূল্য দিতে হবে।’’
তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক্সে দেওয়া পোস্টে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘তেহরানের বাসিন্দাদের শারীরিকভাবে ক্ষতি করার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই।’’
ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘‘তারা (তেহরানের বাসিন্দারা) একনায়কতন্ত্রের খেসারত দিতে বাধ্য হবে। যেখানে ইরানি শাসকগোষ্ঠীর সামরিক ও নিরাপত্তা কাঠামোতে আঘাত হানা আমাদের জন্য জরুরি হবে, সেসব এলাকা থেকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া লাগতে পারে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইসরায়েলের নাগরিকদের রক্ষার কাজ চালিয়ে যাবো।’’
এর আগে, গত চার দিনের হামলায় ইরানের ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত শুক্রবার ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এসব লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে; যা ইরানের মোট ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা এফি ডেফরিন বলেছেন, কেবল রোববার রাতেই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করা না হলে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই এসব লঞ্চার ব্যবহার করা হতো।
তিনি বলেন, ইসরায়েল প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের মধ্যাঞ্চলের ইসফাহান শহরের অন্তত ১০০টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কারখানা, লঞ্চার এবং কমান্ড সেন্টার রয়েছে।
পিএ/এসএন