কথা ছিল জি৭ বৈঠকের ফাঁকেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আচমকাই আমেরিকা ফিরে যেতে হয়েছে ট্রাম্পকে। আর তারপরই মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রহে বুধবার টেলিফোনে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি এই সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এদিনের কথোপকথনে মোদি ট্রাম্পকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত কখনওই পাকিস্তানের বিষয়ে কোনও মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না।
প্রায় ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল ট্রাম্প-মোদি কথোপকথন। বিক্রম জানিয়েছেন, এই বৈঠকে মোদি ট্রাম্পকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শেষবার তাদের কথা হয়েছিল ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার দিন। এদিন মোদি ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছেন, ৭ মে গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতেই কেবল হামলা চালিয়েছিল সেনা।
সেই সঙ্গেই মোদি ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কখনওই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যিক চুক্তি কিংবা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতার মতো কোনও বিষয়ে কথা হয়নি। ভারত যে জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়ে কোনও ধরনের মধ্যস্থতাকে কখনও গ্রহণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন মোদি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি হয়েছিল। এবং তা পাকিস্তানের অনুরোধেই হয়েছিল। সেই সঙ্গেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারত এখন আর সন্ত্রাসবাদকে ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখে না, দেখে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ হিসেবেই।
এদিনের কথোপকথনের সময় ট্রাম্প মোদিকে কানাডা থেকে ফেরার পথে আমেরিকায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু মোদি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পূর্ব নির্ধারিত সূচির চাপে এই বৈঠক সম্ভব নয়। এরপর দুই রাষ্ট্রনেতাই সম্মত হয়েছেন ভবিষ্যতে বৈঠকে বসার বিষয়ে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।
আরএম