মেক্সিকোর উপকূলে আঘাত হানবে হারিকেন এরিক

মেক্সিকো উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে হারিকেন এরিক। দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে আঘাত হানার আগে হারিকেনটি শক্তি বাড়িয়ে ৩ নম্বর ক্যাটাগরির ঝড়ে পরিণত হবে।

মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, এরইমধ্যে ক্যাটাগরি ২ হারিকেনের শক্তি অর্জন করা সামুদ্রিক ঝড়টি দক্ষিণ মেক্সিকোর কিছু অংশে ‘ধ্বংসাত্মক বাতাস এবং প্রাণঘাতী আকস্মিক বন্যা’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ জুন) বিকেল নাগাদ ঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১১০ মাইল) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আরো তীব্র হওয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম ঝড়ের গতিপথে থাকা লোকজনকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের রাখতে, ঘরের ভেতরে থাকতে এবং বাইরে না বের হতে বলেছেন।

ক্যাটাগরি ৩ এবং তার বেশি ঝড়গুলোকে বড় হারিকেন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এসব ঝড়ের ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৮০ কিলোমিটার (১১১ মাইল) বাতাসের গতিবেগ থাকে।

মেক্সিকোর নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান লরা ভেলাজকুয়েজ বলেছেন, ওয়াঝাকা এবং গুয়েরেরো রাজ্যের মধ্যে এরিকের আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ৫০ সেমি (২০ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে মেক্সিকোর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত চিয়াপাস, গুয়েরেরো এবং ওয়াক্সা রাজ্যে প্রায় ২০০০ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে মেক্সিকোতে হারিকেন ওটিসের আঘাতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়, যা ছিল ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন। এটি গুয়েরেরোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত আকাপুলকোতে আঘাত হানে।

এসএম/টিএ   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফ্যাসিবাদের মতো কঠিন রোগ সরাতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের যোগদান শিগগিরই : স্বাস্থ্যের ডিজি Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট Sep 17, 2025
img
যারা গুপ্তভাবে কাজ করে তারাই অনিয়মের পথ বেছে নেয় : টুকু Sep 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অমূল পরিবর্তন করেছে: আসিফ নজরুল Sep 17, 2025
img
মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ Sep 17, 2025
img
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্রমিক সেজেছিলেন, তবুও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার Sep 17, 2025
img
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর Sep 17, 2025
img
আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাই, তারপর পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব: চেলসি কোচ Sep 17, 2025
img
শরতের আবহে মিমের মুগ্ধতা Sep 17, 2025
img
ড. ইউনূসের সফরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে নিউইয়র্ক পুলিশ Sep 17, 2025
img
ফরিদগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের: আলী রীয়াজ Sep 17, 2025
img
রাজাকাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : সেলিমা রহমান Sep 17, 2025
img
শ্বশুরবাড়ি নয়, মায়ের কাছেই বেশি থাকছেন ঐশ্বরিয়া! Sep 17, 2025
img
অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম Sep 17, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৭ কোটি ডলার Sep 17, 2025
img
ক্যারিয়ার, সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন মালাইকা Sep 17, 2025
img
নাটকীয়তা শেষে মাঠে আসলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা Sep 17, 2025
সংবিধান আদেশে জুলাই সনদের প্রস্তাবনা গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা পাবে Sep 17, 2025