কক্সবাজার শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগ ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জন্য সুইডেন অতিরিক্ত ২ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকার সুইডিশ দূতাবাসের জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজারে জীবন বাঁচাতে ও পরিবেশবান্ধব প্রত্যাবর্তনের সহায়তার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস অতিরিক্ত ২ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৫ কোটি ৭ লাখ টাকা) অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, এই অনুদান রোহিঙ্গাদের জন্য পরিবেশবান্ধব রান্নার শক্তি সরবরাহ, পরিবেশের অব্যাহত পুনর্বাসন এবং শরণার্থী ও বাংলাদেশী স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত পরিবেশগত দক্ষতা উন্নয়নের সুবিধার্থে সহায়তা করবে।
এই কার্যক্রমগুলো জ্বালানি ও জ্বালানিতে নিরাপদ প্রবেশাধিকার প্লাস, দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি (সেইফ+২) এর অংশ। এটি জাতিসংঘের একটি যৌথ কর্মসূচি— যা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মধ্যে সমন্বয় করে।
রাষ্ট্রদূত উইকস বলেন, তহবিল ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তাই আমাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে এবং একই সঙ্গে গত কয়েক বছরের অর্জিত সাফল্যগুলোকেও ধরে রাখতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা (রোহিঙ্গারা) স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসইভাবে মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত সুইডেন রোহিঙ্গা ও তাদের বাংলাদেশি আশ্রয়দাতাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যাবে— যা মানবিক মর্যাদা ও পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
২০১৭ সাল থেকে সুইডেন রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়কে ১৩৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
আরএম