রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। এর ফলে আগামী ৫ বছর চিকিৎসা পেশায় যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। এছাড়া, আরও ১৩ চিকিৎসকের বিএমডিসি সনদ ৬ মাস থেকে ৪ বছর পর্যন্ত স্থগিত করেছে বিএমডিসি।
২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পেটে গ্যাসজনিত সমস্যা নিয়ে ডা. স্বপ্নীলের কাছে গেলে তিনি রাহিবকে এন্ডোসকপি করার পরামর্শ দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় রাহিব ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের বহির্বিভাগে অপেক্ষা করেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার পরীক্ষা শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান রাহিবের পরিবারের সদস্যরা।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইডের আইসিইউতে নেওয়া হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে রাহিবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে রাহিবের পরিবার। তাদের অভিযোগ, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও টিমের গাফিলতির কারণে সাধারণ একটা অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে রাহিবকে।
এর পরে আদালতে যায় রাহিবের পরিবার। ১১ মার্চ আদালত রুল জারি করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। ছয় মাস তদন্ত করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করে অধিদপ্তরের কমিটি। যেখানে চিকিৎসায় গুরুতর অবহেলার প্রমাণ পায় কমিটি।
টিকে