ইসরায়েলের ১৩০টি ড্রোন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় একের পর এক করা জবাব দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সীমান্ত লঙ্ঘন করে যেসব ড্রোন পাঠিয়েছিল, তার বেশিরভাগই সফলভাবে শনাক্ত করে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ড্রোনগুলোর মধ্যে ছিল উন্নত প্রযুক্তির ‘হার্মেস ৯০০’, ‘হার্মেস ৪৫’, ‘হেরন’ ও আত্মঘাতী ‘হারপ’ মডেল। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট গত কয়েকদিনে বহু শত্রু ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করেছে। একে আকাশ প্রতিরক্ষায় নিজেদের সক্ষমতার একটি বড় উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছে ইরান।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযান ছিল ‘সমন্বিত, সুপরিকল্পিত এবং কৌশলগতভাবে সফল’। যা ইরানের প্রতিরোধক্ষমতা ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতাকে নতুনভাবে তুলে ধরে। তারা বলছে, এত বিপুলসংখ্যক ড্রোন ভূপাতিত করতে তাদের নিজেদের তৈরি রাডার সিস্টেম, জ্যামিং প্রযুক্তি ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট অস্ত্র কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিশ্ব সামরিক ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেও মন্তব্য করছেন ইরানি সামরিক বিশ্লেষকরা।
ইসরায়েলের ড্রোনগুলোর প্রধান লক্ষ্য ছিল তথ্য সংগ্রহ ও ভবিষ্যৎ হামলার প্রস্তুতি, কিন্তু ইরানের আগাম প্রস্তুতি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই এই হুমকি প্রতিহত করেছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক জ্যেষ্ঠ আইআরজিসি কমান্ডার বলেন, ইরান আর চুপ করে সহ্য করবে না। যে রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরানো হয়েছে, তা ইমান ও প্রতিশোধ দিয়ে প্রতিফলিত হবে।
এফপি