বৈঠকের প্রস্তাবে ইরানকে চিঠি দিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে তেহরানের সঙ্গে বৈঠক করতে চায় জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি’র কাছে এ ইস্যুতে চিঠিও দিয়েছেন আইএইএ-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন গ্রসি নিজে। এক্সপোস্টে তিনি বলেন, “ইরান যদি আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা ফের শুরু করে, তাহলে তেহরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে বিতর্ক চলছে— তার সমাধান কূটনৈতিক পন্থায় করা সম্ভব হবে।”

সোমবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার এক্সে এই বার্তা পোস্ট করেন গ্রসি।

আইএইএ-এর শীর্ষ নির্বাহীর চিঠি নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি সৈয়দ আরাগচি; তবে ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে, তাদের পরমাণু প্রকল্প শান্তিপূর্ণ এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে আইইএ’র সঙ্গে এনপিটি চুক্তি করেছিল ইরান। সে সময় অবশ্য বর্তমান ইসলাপন্থি শাসকগোষ্ঠী শাসনক্ষমতায় ছিল না। ইরানের সর্বশেষ রাজা বা শাহ রেজা পাহালভী তখন ইরানের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছিলেন।

আইএইএ-এর সঙ্গে এএনপিটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে দেশটি কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি বিষয়ক প্রকল্প গ্রহণ করবে না এবং আইএইএ-কে সহযোগিতা করবে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল— ইরান যে ধরনের বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা দিয়ে অনায়াসেই পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব। এর পর ১৩ জুন ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেই অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সংস্থার বিবৃতিকেই হামলার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতেই এ হামলা শুরু হয়েছে।

গত ১৬ জুন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, “ইরানে ইসরায়েলি হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে আইএইএ।”

কেএন/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
রংপুরে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার Sep 17, 2025
img
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব, প্রমাণ ডাকসু : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখলো টাইগাররা Sep 17, 2025
img
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেত্রী সুইটি গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের Sep 16, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬১ Sep 16, 2025
img
কারাবন্দিদের মধ্যে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু Sep 16, 2025
img
ভর্তি বাতিল গোলাম রাব্বানীর, অবৈধ হচ্ছে ডাকসুর জিএস পদও Sep 16, 2025
img
বিএনপি ছাড়া নারীবান্ধব দল বাংলাদেশে আর একটিও নেই : ফারজানা শারমিন Sep 16, 2025
img
বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়েও হতাশ করলেন লিটনরা Sep 16, 2025
img
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে আগুন, ৮ শ্রমিক দগ্ধ Sep 16, 2025
img
তামিমের ছক্কার রেকর্ড, এক বছরে সর্বাধিক ছয় বাংলাদেশের Sep 16, 2025
img
নারীদের ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ : উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
দিল্লিতে বৈঠকে নতুন অধ্যায় খুলছে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের Sep 16, 2025
img
ব্লক মার্কেটে ২১ কোটি টাকা লেনদেন Sep 16, 2025
img
রাহুল গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের ডার্লিং’ বললেন ভারতের মন্ত্রী Sep 16, 2025
img
ব্যর্থতার দায় খুঁজতে কোচিং স্টাফদের তলব বাফুফে সভাপতির Sep 16, 2025
img
ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় শিক্ষার্থীরা, চলতি মাসেই তফসিল দাবি Sep 16, 2025
img
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে CLAS এর আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত Sep 16, 2025
img
এবার রুপার দামেও নতুন ইতিহাস, ভরি কত? Sep 16, 2025