সামরিক সাফল্যের পরেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর

ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সব লক্ষ্য ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে দাবি করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, এ কারণেই মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করে এসব লক্ষ্য ঠিক করেন বলে পৃথক প্রতিবেদনে সিএনএন ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
নেতানিয়াহু জানান, (ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত) অপারেশন রাইজিং লায়ন প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সব লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় এই অভিযানে কোন কোন লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, তার বিস্তারিত জানান নেতানিয়াহু।

তার ওই বক্তব্যের বরাত দিয়ে ইসরায়েল সরকারের আনুষ্ঠানিক এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যুদ্ধবিরতি নিয়ে এটাই ইসরায়েলের প্রথম আনুষ্ঠানিক বার্তা। এতে নিশ্চিত করা হয়, ইরানে হামলার যেসব লক্ষ্য ছিল, তার সবই পূরণ হয়েছে। দুই সপ্তাহের হামলায় এমন কিছু লক্ষ্য অর্জন হয়েছে, যা প্রত্যাশা ছাড়িয়ে বহুদূর গেছে।

ওই বিবৃতিতে ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে ইসরায়েলের অস্তিত্বের প্রতি ‘দ্বৈত হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়, উভয় হুমকিই দূর হয়েছে। সব কটি লক্ষ্যের মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তেহরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। 

পাশাপাশি ইরানের সামরিক নেতৃত্বের বড় ও অপূরণীয় ক্ষতি এবং ইরান সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে হত্যার বিষয়টি নিয়েও বিবৃতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ইসরায়েল।

বিবৃতির শেষে বলা হয়, সামরিক অভিযানের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে ইসরায়েল দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।

সুরক্ষা সহায়তা দেওয়া ও ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায় ইসরায়েল।
 
তবে যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন হলে আবারও ‘সর্বশক্তি দিয়ে’ ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। 

এফপি/ টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচনের পরও বিচার চালিয়ে নেওয়ার রোডম্যাপ চেয়েছেন নাহিদ ইসলাম Sep 16, 2025
img
অর্থহীনের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর, আসছে চমক Sep 16, 2025
img
কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন Sep 16, 2025
img
কাজল-টুইঙ্কলের সঞ্চালনায় দীর্ঘদিন পর জমবে বরুণ-আলিয়ার আড্ডা Sep 16, 2025
img
আর মাত্র ২৮ রানের অপেক্ষায় লিটন দাস! Sep 16, 2025
img
রাতারাতি ব্রেকআপ, করতে চেয়েছিলেন আত্মহত্যা! Sep 16, 2025
img
জাপার কাদের-শামীমের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ছাত্র অধিকার নেতার Sep 16, 2025
img
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি শুক্রবার, ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে হবে পরীক্ষা Sep 16, 2025
img
ফের বিশ্ববাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
টানা ৮ দিন চীনা ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা Sep 16, 2025
img
‘আমি খুব কৃতজ্ঞ মানুষ, মিথ্যা কথা বলি না’ Sep 16, 2025
img
চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক Sep 16, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে এজলাস সংকট, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা Sep 16, 2025
img
তিন মামলা থেকে চসিক মেয়রকে অব্যাহতি Sep 16, 2025
img
ছাত্রলীগ এখন ছাত্রশিবির : দুলু Sep 16, 2025
img
বিজয় দেবরাকোন্ডার নতুন ছবিতে খলনায়ক হিসেবে থাকছে হলিউড তারকা Sep 16, 2025
img
ঢাবি বাগছাসের মুখ্য সংগঠক হাসিবের পদত্যাগ Sep 16, 2025
img
সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : দুদু Sep 16, 2025
img
দাম যাচাই করেই এলএনজি কেনা হচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ Sep 16, 2025