সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক মন্তব্যে বলেছেন, ন্যাটোর চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় সাড়া দেবে কি না, সেটা অনুচ্ছেদ ৫-এর ‘সংজ্ঞার’ উপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, “অনুচ্ছেদ ৫-এর অনেক মানে হতে পারে। তবে আমি তাদের বন্ধু হতে চাই।”
ন্যাটোর ৫ নম্বর ধারা বলছে, কোনো একটি সদস্য দেশ আক্রমণের শিকার হলে সব দেশ মিলে তাকে সাহায্য করবে।
এই ধারাই ন্যাটোর মূল ভিত্তি। বুধবার (২৪ জুন) সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি জীবন বাঁচাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। তবে তখন বিস্তারিত কিছু বলেননি। ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুট অবশ্য বলেছেন, ‘তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্র এখনো ন্যাটোর পাশে আছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ন্যাটোর অন্য দেশগুলোকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা খরচ করতে হবে। ট্রাম্প চান দেশগুলো যেন তাদের মোট আয় জিডিপির ৫% প্রতিরক্ষায় খরচ করে। অনেক দেশ এখন ২% খরচ করছে। তাই হঠাৎ করে ৫% খরচ করা কঠিন।
তবে ইউরোপের অনেক দেশ এখন নিজেদের সেনাবাহিনী শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিচ্ছে, কারণ রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সবাই চিন্তায় আছে। জার্মানির চ্যান্সেলর বলেছেন, জার্মানি ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী বানাবে।
রাশিয়ার মুখপাত্র পেসকভ বলেন, ন্যাটো এখন আর শান্তির জন্য কাজ করছে না, বরং তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, রাশিয়া কাউকে আক্রমণ করতে চায় না, কিন্তু ন্যাটো সব সময় রাশিয়াকে খারাপভাবে দেখাতে চায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র চায় অন্য দেশগুলো যেন আরও বেশি প্রতিরক্ষা খরচ করে। ইউরোপের দেশগুলোও এখন নিরাপত্তা নিয়ে বেশি সচেতন। আর রাশিয়া বলছে, ন্যাটো এখন শান্তির বদলে সংঘাত তৈরি করছে।
সূত্র : আল জাজিরা
এসএন