‘আমার ধারণা, শেষ পর্যন্ত আমাদের ইরানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে'

ইরান যদি পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করে তাহলে দেশটিতে আবারও হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দেন।

ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতি এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল-তেহরান যদি আবার পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু করে, যুক্তরাষ্ট্র কি আবার বোমাবর্ষণ করবে? ট্রাম্পের সরাসরি জবাব, ‘অবশ্যই’। এ মুহূর্তে তারা কিছুই সমৃদ্ধ করতে চায় না। তারা কেবল ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা বোমা পাবে না, আর তারা ইউরেনিয়ামও সমৃদ্ধ করতে পারবে না।’ তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে কিছুটা সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, শেষ পর্যন্ত আমাদের ইরানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’

ট্রাম্প দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে তা ‘অত্যন্ত সমতাভিত্তিক’। দুই পক্ষই বলেছে ‘এটি যথেষ্ট হয়েছে।’ তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলাকে বর্ণনা করেন ‘একটি বিশাল বিজয়’ এবং জবরদস্ত এক আঘাত’ হিসেবে।

ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইসরায়েলও এই সংঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। ‘ইসরায়েল ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে, বিশেষ করে গত কয়েক দিনে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অনেক ভবন ধ্বংস করেছে।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার গর্বিত হওয়া উচিত।’

এর আগে একই সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তির বিষয়ে ‘বড় ধরনের অগ্রগতি’ হয়েছে। তিনি মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ও ইসরায়েলি যৌথ হামলার ফলেই এমন অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, আমরা খুব শিগগিরই খুব ভালো খবর পাবো… গাজা চুক্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

আরএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১০০ বছরের স্বপ্ন, ১০ বছরের পরিকল্পনা, পোলো খেলতে গিয়েই থেমে গেল সঞ্জয়ের জীবন Jun 26, 2025
img
কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নিহত ১৬ Jun 26, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতেই রোজা শুরুর সম্ভাবনা, জানাল আমিরাত Jun 26, 2025
img
বিদায় অনুষ্ঠানে অশালীনতা, কলেজ ক্লাসরুমে ধোঁয়া ও নাচানাচি Jun 26, 2025
img
গাছের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের Jun 26, 2025
img
ব্রিজটাউন টেস্টের প্রথম দিন শেষেই পড়ল ১৪ উইকেট Jun 26, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষার দুটি কেন্দ্র আজ পরিদর্শন করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা Jun 26, 2025
img
সাইয়ারা’র সুরেই বলিউডে ঝড় তুললেন দুই নবাগত Jun 26, 2025
img
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইন্টার মিলান Jun 26, 2025
img
ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, বললেন ট্রাম্প Jun 26, 2025
img
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল মণি রত্নমের ‘ঠগ লাইফ’ Jun 26, 2025
img
হজ শেষে ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজির দেশে ফেরা সম্পন্ন Jun 26, 2025
img
জেনে নিন আজকের বাজারের স্বর্ণ ও রুপার দাম Jun 26, 2025
img
সিনেমার পর এবার গেমিং দুনিয়া জয় করতে এসেছেন রাজামৌলি Jun 26, 2025
img
টেস্টে মাহমুদউল্লাহকে ছাড়িয়ে গেলেন লিটন Jun 26, 2025
img
দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্যের এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ভারতে Jun 26, 2025
img
প্রতিদিন সকালে মেথি খেলে মিলবে যেসব উপকার Jun 26, 2025
img
ঢাকার বাতাস আজ সহনীয়, দূষণের শীর্ষে মানামা Jun 26, 2025
img
সিআইএ বলছে, বহু বছর পিছিয়ে গেল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি Jun 26, 2025
img
আশুরার তারিখ নির্ধারণে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবে চাঁদ দেখা কমিটি Jun 26, 2025