যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক বিভক্ত রায়ে জানিয়েছে, একক ফেডারেল বিচারকরা আর জাতীয় পর্যায়ে স্থগিতাদেশ (nationwide injunction) জারি করতে পারবেন না। এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনলেও, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত নির্বাহী আদেশের ভবিষ্যৎ এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সুপ্রিম কোর্ট তাদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশে যাওয়ার আগে বাকি থাকা ছয়টি মামলার রায় ঘোষণা করে। এর মধ্যে ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু জরুরি আবেদন, যার মধ্যে একটি ছিল জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ। ট্রাম্প প্রশাসন চায়, অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব না দিতে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো অবস্থান নেওয়া হয়নি। যেহেতু আদালত জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের পক্ষে কোনও অবস্থান নেয়নি তাই ট্রাম্প এ বিষয়টিকে তার বিজয় হিসেবে দেখছেন।
রায় ঘোষণার পর ট্রাম্প তার Truth Social অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “এই রায় একটি বিরাট জয় (GIANT WIN)।” তিনি এ–ও জানিয়েছেন যে, পরদিন সকাল ১১:৩০টা (ইটি সময়) একটি প্রেস কনফারেন্স করবেন, যেখানে তিনি এই রায় এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে কথা বলবেন।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, একক ফেডারেল বিচারকেরা তার প্রশাসনিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এই রায় তাই তার জন্য রাজনৈতিকভাবে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এই রায় অনুযায়ী, ভবিষ্যতে একক বিচারক কোনো নীতির বিরুদ্ধে দেশের সব জায়গায় প্রযোজ্য স্থগিতাদেশ জারি করতে পারবেন না, যা বহুদিন ধরেই বিতর্কের বিষয় ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ট্রাম্পের মতো প্রেসিডেন্টদের জন্য সুবিধাজনক, কারণ এতে একটি রাজ্যের আদালত সারা দেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
সূত্র- এপি
আরআর