সাইপ্রাসে গোপনে জমি কিনছেন ইহুদিরা!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র সাইপ্রাস। সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সংঘাতেও হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক সেখানে আশ্রয় নেন। গুঞ্জন আছে, কয়েকদিনের জন্য সাইপ্রাসে ছিলেন স্বয়ং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও।

তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে সাইপ্রাসে আড়াই হাজারের বেশি সম্পত্তি কিনেছেন ইসরাইলিরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব এলাকাকে ‘মিনি ইসরাইল’ বানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ তাদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি নাগরিকরা ব্যাপকহারে বিনিয়োগ করছেন সাইপ্রাসে। এমন খবর সামনে আসতেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির বামপন্থি রাজনৈতিক দল আকেল।

তাদের দাবি, সেনা স্থাপনা, ঘাঁটি ও স্পর্শকাতর অবকাঠামোর কাছাকাছি জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে জমি কেনা হচ্ছে। এসব এস্টেটকে সংরক্ষিত এলাকার মতো তৈরি করা হচ্ছে যেখানে কেবল ইসরাইলিরাই প্রবেশ করতে পারবেন। স্থানীয়দের সেখানে যাতায়াতের অনুমতি থাকবে না।

আকেল আরও দাবি করেছে, এসব এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে জায়নবাদী স্কুল ও উপাসনালয়। যেটিকে সাংস্কৃতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষণ হিসেবে দেখছে বামপন্থি রাজনৈতিক দলটি।

ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও বলছে, সাইপ্রাসকে ‘দ্বিতীয় ঘর’ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন ইসরাইলিরা। সাইপ্রাসের সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ১ হাজার ৪০০’র বেশি আর লিমাসোলে ১ হাজার ১৫০টির বেশি সম্পত্তি কিনেছেন ইসরাইলিরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব এলাকাকে মিনি ইসরাইল’ বানানো হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পার্লামেন্টে দুটি বিল উত্থাপন করেছে আকেল। ‘গোল্ডেন ভিসা’ নীতিমালার সংস্কার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জমি কেনার বিকল্প পদ্ধতিগুলো কঠোর নজরদারির আওতায় আনার দাবি দলটির। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সাইপ্রাসের নিজস্ব ভূখণ্ড নিয়েই টানাপোড়েন শুরু হবে বলে আশঙ্কা আকেলের।

সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল ও সাইপ্রাস মেইল

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নতুন নির্দেশনা Nov 11, 2025
img
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে Nov 11, 2025
img
ফ্রান্সের দল থেকে ছিটকে গেলেন মুয়ানি Nov 11, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান চতুর্থ Nov 11, 2025
img
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ২ Nov 11, 2025
img
শুভশ্রীর সম্মান যেন নষ্ট না হয়: দেব Nov 11, 2025
img
১১ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে কী ঘটেছিল Nov 11, 2025
img
পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী হাওয়া, তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে Nov 11, 2025
img
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান যাচাই করতে চায় আয়ারল্যান্ড Nov 11, 2025
img
খেতে না পেয়ে কেঁদেছি: ভারতী সিং Nov 11, 2025
img
ঢাকায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাসে ওঠার সময় আওয়ামী লীগ নেতা আটক Nov 11, 2025
img
বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব ক্ষমতার : মঞ্জু Nov 11, 2025
img
জামিনে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার Nov 11, 2025
বিএনপি দেশের বাজারে যেখানে বিনিয়োগ করতে চায় Nov 11, 2025
এফবিআই প্রধানের গোপনে আকস্মিক চীন সফর! Nov 11, 2025
জামায়াত ছোট দল ছিল, হুট করে বড় হয়ে গেছে গ্যাপ মার্কেটে : পাটওয়ারী Nov 11, 2025
বাবাকে ঘিরে গুজবের জবাবে মুখ খুললেন বিএনপি মহাসচিব Nov 11, 2025
img
ধামরাইয়ের আমতলা বাজারে আগুন Nov 11, 2025
৫ দফা কর্মসূচি যে কারণে দিলো জামায়াত! Nov 11, 2025
সরকার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে- পরিবেশ উপদেষ্টা Nov 11, 2025