পদ্মার পানি বাড়ছে!

পানি বাড়ছে পদ্মায়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। গেল এক সপ্তার ব্যবধানে পদ্মা নদীর রাজশাহী সীমান্তে পানি বেড়েছে ১ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর পানি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৫ জুন রাজশাহী সীমান্তে পদ্মা নদীর পানি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার, তার পরের দিন (২৬ জুন) ছিল ১০ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার। ফলে একদিনের ব্যবধানে পানি বেড়েছে দশমিক ৭১ সেন্টিমিটার। গেল ২৭ জুন বিকেল ৩টায় পদ্মার পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ সেন্টিমিটারে। পরের দিন ২৮ জুন একই সময়ে পদ্মার পানি দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটারে।

একটানা ৪ দিন বাড়ার পরে গেল ২৯ জুন এক সেন্টিমিটার পদ্মার পানি কমে যায়। এদিন বিকেল ৩টায় পদ্মার পানি ছিল ১০ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার। তারপরের দিন ৩০ জুন (সোমবার) পদ্মার পানি দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটারে। এছাড়া সর্বশেষ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর পানি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। আর রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পদ্মা নদীতে পানির সঙ্গে ভেসে আসছে কুচুরিপানা। সেই কুচুরিপানগুলো উজান থেকে স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসছে। পদ্মা নদীর বুকে জেগে ওঠা ছোট চরগুলোতে পানি উঠেছে। যদিও বা এই চরগুলোতে মানুষের বসবাস নেই। তবে গবাদী পশুর বিচরণ রয়েছে।

সাইফুল ইসলাম নামের নৌকার মাঝি বলেন, গেল কয়েকদিন থেকে পদ্মায় পানি বাড়ছে। নতুন পানির সঙ্গে ভেসে আসছে কুচুরিপানা। কুচুরিপানা আসা মানে পানি বাড়া। এখন বর্ষাকাল চলছে। প্রতিদিনই পদ্মার পানি বাড়বে। পানি বাড়লে পদ্মায় জালে বিভিন্ন ধরনের মাছ হবে।

পদ্মা পাড়ের সাতবাড়িয়া এলাকার নজরুল বলেন, বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি বাড়ে। তখন কুচুরিপানা ভেসে আসে। বছরের অন্য কোন সময় এভাবে কুচুরিপানা ভেসে আসে না। শুধুমাত্র বর্ষার শুরুতে নদীতে পানি বাড়লে উজান থাকা কুচুরিপানাগুলো ভেসে আসে। পদ্মার পানি ১৫ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার হলে নদী ভোরে যায়।

এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, বাড়ছে পদ্মার পানি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর রাজশাহী সীমান্তে পানি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলই চিনতাম না: জয়া আহসান Oct 18, 2025
img
জাকেরকে নিয়ে করা মন্তব্যে বাংলাদেশ কোচের বিরক্তি প্রকাশ Oct 18, 2025
img
চুল কাটতে গিয়ে কক্সবাজারের যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার Oct 18, 2025
img
আমার ছেলে মেসির ফ্যান, তাই ফুটবল খেলা বেশি দেখি: শামা ওবায়েদ Oct 18, 2025
img
পাকিস্তানের হামলায় প্রাণ হারাল ৩ ক্রিকেটার, ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে না আফগানরা Oct 18, 2025
img
ফোনালাপে নেতানিয়াহুর ভূয়সী প্রশংসা করলেন মাচাদো Oct 18, 2025
img
রিয়াদে এক সিনেমায় শাহরুখ,সালমান ও আমির খান Oct 18, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে মন্তব্য এনসিপি নেত্রী সামান্তার Oct 18, 2025
img
বিশ্ববাজারে সোনার দামে ফের রেকর্ড Oct 18, 2025
img
গুজরাটের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী Oct 18, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘রশিদ-হাসারাঙ্গা’ না থাকায় স্বস্তিতে বাংলাদেশ Oct 18, 2025
img
অঙ্কনের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স! Oct 18, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে: রফিকুল ইসলাম খান Oct 18, 2025
img
সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য! Oct 18, 2025
img
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Oct 18, 2025
img
ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি’তে তুরস্কের অবদান রয়ে: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 18, 2025
img
চীনে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীর ৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত Oct 18, 2025
img
প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, প্রতিযোগিতার রাজনীতি করুন: জুয়েল Oct 17, 2025
img
শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারো না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ: মির্জা আব্বাস Oct 17, 2025
img
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের Oct 17, 2025