রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না : আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ৫৩ বছরে রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ আর আসেনি। অনেক অন্যায় অত্যাচার ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে এ সুযোগটা আমরা পেয়েছি, এ সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়ে জুলাই সনদ তৈরির লক্ষ্যে আজ দ্বিতীয় দফার নবম দিনের মতো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল এগারোটায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

আলোচনার শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. আলী রীয়াজ বলেন, আমরা কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে, অন্যদের কি পরিমাণ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছি সেটা আমাদের প্রত্যেকেরই স্মরণ রাখতে হবে। হাজারো মানুষের আত্মত্যাগই যেন হয় আমাদের দিক নির্দেশক।

আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন-বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশ গ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনায় পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়ে অধিকতর আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা- এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, গতকাল (বুধবার) কমিশনের অষ্টম বৈঠক শুরুর প্রথমে প্রারম্ভিক বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনা ইতিবাচকভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং এভাবে আলোচনা অগ্রসর হলে এ মাসের মাঝামাঝি বা ৩য় সপ্তাহের মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জয়পুরহাট এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ Oct 14, 2025
img
অভয়নগরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার Oct 14, 2025
img
অভয়নগরে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি, অস্ত্র উদ্ধার Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩য় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ Oct 14, 2025
img
সম্মান রক্ষার মিশনে টাইগাররা, চোখ এখন পরের সিরিজে Oct 14, 2025
img
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই হবে: আইন উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
জামিন হওয়ার পর এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
ওয়ার্ল্ড হেলথ সামিটে যোগ দিচ্ছেন কৃতি! Oct 14, 2025
img

অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশে সংস্কার অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াবে Oct 14, 2025
img
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 14, 2025
img
মালয়েশিয়ায় প্রায় ৬,০০০ শিক্ষার্থী ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত, স্কুল বন্ধ ঘোষণা Oct 14, 2025
img
আর্জেন্টিনার দলে ফিরছেন মেসি! Oct 14, 2025
img
বেরোবির অনুষ্ঠানে মঞ্চ দখলে ছাত্রলীগ, দর্শকের ভূমিকায় উপাচার্য Oct 14, 2025
ঢালিউডের ট্রাজেডি কিং হঠাৎ ‘বিদায়’ লিখলেন Oct 14, 2025
img
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আটক Oct 14, 2025
img

চাকসু নির্বাচন

৩৫ বছর পর চবি ক্যাম্পাসে ফের ভোটের আমেজ Oct 14, 2025
img
নবাগতদের জন্য অক্ষয়ের সতর্কবার্তা Oct 14, 2025
img
চাঁদপুরের নৌপুলিশের অভিযানে ৪৫ জেলে আটক Oct 14, 2025
img
জিন নয়, জীবনযাপনেই বাড়ছে অকালপক্বতার ঝুঁকি Oct 14, 2025
img
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্প ও মধ্যস্থতাকারী ৩ নেতার সই Oct 14, 2025