উপদেষ্টাদের শিক্ষায় বদল আনার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে : জোনায়েদ সাকি

বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা আশা করি, উপদেষ্টারা এমন কিছু পদক্ষেপ নেবেন যাতে শিক্ষাখাতে বাস্তব বদল আসে।

আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘শিক্ষক মহাসমাবেশে’ তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে শিক্ষকরা চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

সাকি বলেন, একটি জাতি গঠনের মূল ভিত্তি হচ্ছে শিক্ষা। অথচ আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এর গুরুত্ব দেখা যায় না। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একীভূত পাঠ্যক্রম চালু করা জরুরি। শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে শিক্ষার কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম পৃথিবীর সঙ্গে পরিচিত হয়। যারা এ কাজ করেন, তাদের দক্ষতা ও মানবিকতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেটি ব্যক্তি উদ্যোগে সম্ভব নয়, রাষ্ট্রকে ভূমিকা রাখতে হবে।

সাকি বলেন, “শিক্ষকরা বছরের পর বছর রাজপথে আছেন নিজেদের ন্যায্য দাবি নিয়ে। আমরা বারবার বলেছি, গণতান্ত্রিক সরকার হলে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু করা হবে। অল্প বেতনে জীবন চালিয়ে তারা পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে পারেন না। তাই শিক্ষায় বিনিয়োগ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হবে না।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা আশা করেছিলাম শিক্ষার একটা কমিশন হবে। কিন্তু কমিশন তৈরি হয়নি,নতুন নীতিও তৈরি হয়নি। বর্তমানে উপদেষ্টাদের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমরা আশা করবো, তারা এমন কিছু পদক্ষেপ নেবেন, যাতে আমাদের শিক্ষাখাতে বদল আসবে। শিক্ষকদের দাবি অবিলম্বে মেনে নিয়ে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ও পদোন্নতির বিষয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

সমাবেশে শিক্ষকরা যে ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করেন :

১. সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা।

২. ৯/৩/২০১৪ থেকে সব প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে জিও জারি ।

৩. চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি।

৪. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া।



পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আটক ১০ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 13, 2025
img
মেসিকে নিয়ে সুখবর দিলেন মাশচেরানো! Sep 13, 2025
img
পদত্যাগ করলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য ড. স্নিগ্ধা Sep 13, 2025
img
শ্রীলেখাকে বয়কট ইস্যুতে নীরব পুলিশ, পদক্ষেপ নিল আদালত Sep 13, 2025
img
অবশেষে শেষ হলো জাকসুর ভোট গণনা Sep 13, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ বছরে প্রাণহানি ৮৬ হাজারের বেশি Sep 13, 2025
img
জামায়াত আমিরের উদ্দেশে নীলা ইসরাফিলের বার্তা Sep 13, 2025
img
আজ রাতেই প্রকাশিত হবে চাকসু নির্বাচনের সংশোধিত ভোটার তালিকা Sep 13, 2025
img
একাত্তর সম্মানের, জুলাইও অস্বীকার করা যাবে না : মাওলানা হালিম Sep 13, 2025
img
সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২ Sep 13, 2025
img
হঠাৎ মণিপুর সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! Sep 13, 2025
img
নেপালের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 13, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এনসিপি নাই হয়ে গেছে : মোস্তফা ফিরোজ Sep 13, 2025
img
গ্রুপ অব ডেথে বাংলাদেশ নয়, শোয়েবের পছন্দ অন্য দুটি দল! Sep 13, 2025
img
মাহফুজ আলমের গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ, ক্ষোভ প্রকাশ রাশেদ খাঁনের Sep 13, 2025
img
৩৩ বছর জাকসু হয়নি, অভিজ্ঞতা কম থাকায় ফল প্রকাশে সময় লাগছে: জাবি প্রক্টর Sep 13, 2025
img
এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না : গয়েশ্বর Sep 13, 2025
img
জাকসুর ১৯ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ Sep 13, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল Sep 13, 2025
img
রাকসু: মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, কাল চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রকাশ Sep 13, 2025