পিআর পদ্ধতি, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতসহ ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি জানান, লাখ লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করবেন, যার ফলে সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই দুর্ভোগ যেন যতটা সম্ভব সীমিত রাখা যায়, সেজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমি আপনাদের সবার কাছে, বিশেষ করে রাজধানীবাসীর কাছে সহযোগিতা চাই। আমরা সারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন আমাদের সমাবেশটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারি। লাখ লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করার কারণে হয়ত যানজট হবে, যার ফলে জনদুর্ভোগ তৈরি হতে পারে। এজন্য আমাদের আমিরে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীসহ দেশবাসীর কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সমাবেশ সফল করার জন্য দলের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল এই ময়দানে আমাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এখন বর্ষাকাল, তাই আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রেখে প্রস্তুতি সাজানো হচ্ছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সমাবেশকে ঘিরে ছয় হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক আটটি বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সমাবেশস্থলের শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও আগত অতিথিদের সেবা দিতে কাজ করবেন।
সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান জামায়াতের এ নেতা। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিএমপি কমিশনার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে সাধ্য অনুযায়ী প্রশাসনিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দেবেন।
ঢাকার বাইরের সমর্থকদের আগমনের বিষয়টিও দলটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আমাদের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকার বাইরে থেকে আগত বাসগুলো কোন কোন স্থানে থামবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, স্থল, নৌ, সড়ক ও রেলপথে মানুষ শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকায় প্রবেশ শুরু করবে। আমরা চাই, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেন আমাদের জাতীয় সমাবেশটি সম্পন্ন হয়।
ইউটি/এসএন