জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম- জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটা সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল একটা নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের জন্য মানুষের গণবিস্ফোরণ, মানুষের গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এই রাষ্ট্রকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলাম। এই রাষ্ট্রের আইন-কানুন, বিধি-বিধিান, এই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা, যেই ব্যবস্থা জনগণের পক্ষে তৈরি হয়নি, যেই সংবিধান আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল, আমাদের মানবাধিকার, নাগরিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই রাষ্ট্রের পতন ঘটিয়ে নতুন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও নতুন একটি বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠা। সরকার পরিবর্তন হয়েছে, সরকার পতন হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থার পারিবর্তন হয়নি। মানুষের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু যেই সিস্টেম সবকিছু চলছে তা কিন্তু অক্ষত আছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বান্দরবান প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় নাহিদ এসব বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, মুজিববাদের আদর্শে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছিল স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। কখনো রাজাকার বনাম মুক্তিযোদ্ধা, কখনো বাঙালি বনাম পাহাড়ি, কখনোবা ধর্মনিরপেক্ষতা আখ্যা দিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছিল ফ্যাসিবাদের আদর্শে গড়া মুজিববাদ সরকার। তারা চাইলেই আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেনি। এই বিভাজনকে ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। মুজিববাদি সংবিধান গোড়া থেকে একটি ফ্যাসিস্টবাদী সংবিধান ছিল, যেটি সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিভাজন করে রেখেছিল।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সকল বিভাজন দূর হয়েছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ পন্থার মাধ্যমে এই বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করব। এনসিপির বান্দরবান জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. শহীদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে পথসভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউটি/টিএ