টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একাধিক অলরাউন্ডার খেলাতে দেখা যায় না কোনো দলকে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলে এই মুহূর্তে একাধিক অলরাউন্ডার রয়েছেন। এর মধ্যে বিপত্তি বেধেছে দুই ‘মেহেদী’কে নিয়ে। দুজনই অফস্পিনার হলেও টি-টোয়েন্টির দিক থেকে শক্তির জায়গায় তারতম্য আছে। আবার দুজন অলরাউন্ডার হলেও পার্থক্য রয়েছে তাদের ব্যাটিং গভীরতা। ফলে শেখ মেহেদী হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে মধুর সমস্যায় বাংলাদেশ।
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলে ছিলেন মিরাজ-শেখ মেহেদী। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট পরিবেশ-পরিস্থিতি ও উইকেট বিবেচনায় একজনকে একাদশে রাখেন। পাকিস্তান সিরিজের আগে গতকাল (শনিবার) সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন স্বাগতিক অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘শেখ মেহেদীর বিষয়ে আমরা জানি যে ওর কতখানি সামর্থ্য আছে। আর এটা ও অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছে। এখানে কোনো কিছু প্রুভ করার নাই।’
দুই মেহেদীর মধ্যে একজনকে খেলানো নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে আমরা টিম কম্বিনেশনে ব্যাটসম্যানের চাহিদা ও টিম যদি মনে করে যে প্লেয়ারটাকে আমাদের দরকার, আমরা তাকেই খেলাব।’ এর আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে শেখ মেহেদী একাদশে ফিরে ম্যাচসেরা ইনিংস খেলেন। ওই সময় দুই মেহেদীকে নিয়ে অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘যখনই আমি জানি এখানে (কলম্বো) টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে, আগেই প্ল্যান ছিল আর কেউ খেলুক বা না খেলুক মেহেদী খেলবে। এর মানে এটাও না যে (মেহেদী হাসান) মিরাজ ভালো বোলার বা ব্যাটার না। যদি সারফেস বোলিং সহায়ক হয় আমি অবশ্যই মেহেদীকে খেলাবো, আর ব্যাটিং সহায়ক হলে মিরাজ কামব্যাক করবে।’
এর বাইরে বাংলাদেশের বেঞ্চের শক্তিতেও আস্থা আছে লিটনের, ‘নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট কন্ডিশনের ওপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব (একই একাদশ নাকি বেঞ্চ দেখব)। আমাদের দলের বেঞ্চেরও যথেষ্ট শক্তি আছে, সবাই খেলার মতো সামর্থ্যবান। আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ঠিক করব, কোন সময় কাকে খেলানো যায়। আমরা সেভাবেই চেষ্টা করব।’
সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় নেই বাংলাদেশের। এ নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই বদলে যাবে।’
পিএ/টিকে