১৬ বছর বয়সেই নজর কেড়েছেন হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনার প্রাক-মৌসুমে। পুরো নাম পেদ্রো ফার্নান্দেজ সারমিয়েন্তো হলেও সবাই তাকে ‘ড্রো’ নামেই চেনে। ৩৫ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনিই দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ। কিন্তু ইতিমধ্যে তার খেলা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা।
এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন তার সাবেক কোচরা। ড্রোর খেলার ভঙ্গিমা ও মাঠে উপস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে অনেকেই তুলনা করেছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সঙ্গে। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, ‘ড্রোর মধ্যে থিয়াগো আলকানতারার মতো প্রতিভা আছে।’
ড্রোর খেলার ধরনে রয়েছে স্বাভাবিক সৃজনশীলতা, ট্যাকনিক্যাল দক্ষতা, এবং বয়সের তুলনায় অত্যন্ত পরিণত খেলার বোধ।
কোচদের মতে, এই তরুণ যদি ঠিকভাবে গড়ে ওঠে, তাহলে ভবিষ্যতে তিনি বার্সেলোনার মধ্যমাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেন।
ড্রোর ফুটবল যাত্রা শুরু গ্যালিসিয়ার নিগ্রানে অবস্থিত ‘ভাল মিনোর স্কুল’ থেকে। সেখানে এক দশকের বেশি সময় কাটিয়ে শেষমেশ তিনি পৌঁছান কাতালান ক্লাবের বিখ্যাত একাডেমি লা মাসিয়ায়।
প্রথম কোচ হাভি রোক্সোর স্মৃতিচারণে উঠে আসে এক আবেগঘন গল্প, ‘ড্রো যখন প্রথমবার মাঠে আসে, তখন ওর বয়স ছিল মাত্র চার।
১০ মিনিট খেলেই কান্না করে চলে গিয়েছিল। তবে এরপর সে ধীরে ধীরে নিজের প্রতিভা দেখাতে শুরু করে।’
ড্রোর খেলায় এমন এক মিশ্রণ দেখা যায় যা খুব কম খেলোয়াড়ের মধ্যে পাওয়া যায়। কোচ রোক্সো বলেন, ‘আমি থিয়াগো আলকানতারার মতো টেকনিক খুব কম দেখেছি। তবে ড্রোর খেলার দৃষ্টিভঙ্গি আরো উন্নত।
সে ছোটবেলাতেই জানত কখন কী করতে হবে।’
ড্রোর আরেক কোচ লুইস পেরেজ বলেন, ‘সে ছোটবেলা থেকেই খুবই সৃজনশীল ছিল, বলের প্রথম স্পর্শেই বোঝা যেত, সে আলাদা কিছু।’
পেরেজ যোগ করেন, ‘সে ডান পায়ে পারদর্শী হলেও, বাঁ পায়েও দুর্দান্ত। এমনকি হেডে গোল করার সামর্থ্যও আছে। তার সবথেকে বড় গুণ হলো, গেম পড়ার অসাধারণ ক্ষমতা এবং আক্রমণ তৈরি ও শেষ করার দক্ষতা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ড্রোকে অনেকে পেদ্রির সঙ্গে তুলনা করলেও আমি ইনিয়েস্তাকে বেশি দেখি ওর মাঝে। যদি ফ্লিক তাকে উইঙ্গার হিসেবে ব্যবহার করেন, তবু সে ভালো করবে। ইনিয়েস্তার মতো বাঁ দিকে দারুণ খেলতে পারবে।’
এমকে/টিকে