বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের পর ক্ষোভ যেন ঝরে পড়ল পাকিস্তান শিবিরের কণ্ঠে। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে দুষলেন দলটির ক্রিকেটার সালমান আলী আঘা ও প্রধান কোচ মাইক হেসন। তাঁদের অভিযোগ, এমন উইকেটে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। তবে এ নিয়ে ভিন্নমত বাংলাদেশ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের। তাঁর ভাষ্য, সমস্যাটা উইকেটে নয়, বরং পাকিস্তানের ব্যাটাররাই হয়তো পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক কিংবা বিপিএল—মিরপুরের ধীরগতির উইকেট নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। সিরিজ শুরুর আগে লিটন দাসই যেমন বলেছিলেন, এমন উইকেটে খেলে অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ডাউন হয়ে গেছে। সাকিব আল হাসান তো কয়েক বছর আগে সরাসরিই বলেছিলেন, মিরপুরের উইকেটে টানা ১০-১৫ ম্যাচ খেললে একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মতো মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেন বিদেশিরাও।
তুলনামূলক বোলিং সহায়ক উইকেট পেয়ে পাকিস্তানকে চেপে ধরেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান। একপ্রান্তে ফখর জামান আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, সালমান, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ নাওয়াজরা। বৈচিত্রময় বোলিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানেই আটকে দেনে মুস্তাফিজ-তাসকিনরা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ৭ উইকেট ম্যাচ জিতেছে ২৭ বল বাকি থাকতেই।
সালমান কিংবা হেসনরা উইকেটের সমালোচনা করলেও প্রথম টি-টোয়েন্টির পিচের পক্ষেই কথা বললেন অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলা পারভেজ ইমন। বাঁহাতি ওপেনার জানালেন, বাংলাদেশ যদি ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারতো তাহলে ১৬০ রান হতে পারতো। এজন্য সফরকারীদের সমালোচনাকে গ্রাহ্য না করে পারভেজ ইমন জানালেন, পাকিস্তানিরা হয়ত উইকেট কিংবা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ইমন বলেন, ‘না, এমন কিছু মনে হয়নি। আমরা ১১০ রান করছি ১৬ ওভারে (মূলত ১৫.৩ ওভারে)। আমরা যদি ২০ ওভারও খেলতাম ১৬০ রান করতে পারতাম। তো আমার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি। হতে পারে ওরা মানিয়ে নিতে পারেনি, আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।’
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে স্রেফ ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণ ৪ ওভার বোলিং করেছেন এমন বোলারদের মাঝে সবচেয়ে কম (১.৫০) ইকনোমি রেট এখন বাঁহাতি এই পেসারের। আগের রেকর্ডটিও ছিল মুস্তাফিজেরই। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালের সঙ্গে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন তিনি।
যদিও সেই রেকর্ডে তারকা পেসারের সঙ্গী ছিলেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। ম্যাচ শেষে মুস্তাফিজের পাশাপাশি বাকি বোলারদেরও প্রশংসা করেছেন ইমন। বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘খুব ভালো বোলিং করেছে মুস্তাফিজ ভাই। বাকিরাও অনেক ভালো করছে, এ কারণে আমরা ওদের কম রানে আটকে রাখতে পেরেছি।’
ইউটি/টিএ