বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আগে গণহত্যার বিচার, পরে সংস্কার এবং এরপর পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘আর কোনো স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশে জন্ম নিতে দেয়া হবে না। ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সবাই জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। মানুষ মুক্তি চায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গুম-খুন ও স্বৈরাচার থেকে। আগে গণহত্যার বিচার, তারপর হবে সংস্কার, তারপর দেখা যাবে নির্বাচন। সেই নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।’
জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘের দেখা মেলে না। অথচ বাংলাদেশে তারা মানবাধিকার অফিস খুলতে চায়। এটা দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার কার্যালয় চাই না। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মনিরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নজরুল আহসান, ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ হাফিজুল ইসলাম, ওলামা মাশায়েখ পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম আদিফ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মুহিববুল্লাহ হাওলাদারসহ অন্যান্য নেতারা।
কেএন/টিকে