শেখ হাসিনা একটি ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র আমাদের ওপর চাপিয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম

পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা একটি ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র আমাদের ওপর চাপিয়ে গেছে। আমরা ভবিষ্যতে প্রজন্মকে এমন ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র দিয়ে যেতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এদেশের মুজিববাদের কবর হয়েছে। এই মুজিবাদ আর ফ্যাসিস্টদের আর কখনো ফিরতে দেয়া হবে না।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এনসিপির পথসভায় এসব কথাগুলো বলেন তিনি।

এ সময় নাহিদ বলেন, আগামী তিন আগস্ট আমরা ঢাকা সমাবেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ আদায় করবো। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শুরু করেছিলাম, সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। যে কাঙ্খিত বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তা পাইনি। মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আবারও শুরু হয়েছে আমাদের লড়াই। এ লড়াইয়ে সবাইকে আবারও শরিক হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার থাকবে। কোনো সন্ত্রাসীকেও বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হবে না। আমরা মানবাধিকারের পক্ষে থাকব।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, গত বছর ১৪ জুলাই রাত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন রাজনৈতিক দিকে রূপলাভ করে। শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছিল। আজকে তাদের সম্মান জানাই।

সভায় এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন বলেন, এদেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে আমরা যতদিন জীবিত আছি ফ্যসিস্টদের এদেশে ফিরতে দেয়া হবে না। এছাড়া এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দখলদার ও চাঁদাবাজদের বলতে চাই এদেশ ওদের বাপ দাদার না।

এর আগে, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জে এসে সার্কিট হাউসে ওঠেন। দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় মডেল জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে যায় আলফাত স্কয়ারে। সেখানে বেলা তিনটায় পথসভা শুরু হয়।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চেলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক আবু ছালেহ নাসিম প্রমুখ।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বাগেরহাটে চলছে অফিস-আদালত অবরোধ কর্মসূচি Sep 14, 2025
img
ন্যাটো দেশগুলো তেল কেনা বন্ধ করলে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প Sep 14, 2025
img
নেপালে নতুন রাজনৈতিক সংকট, পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি প্রধান দলগুলোর Sep 14, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৩২তম Sep 14, 2025
img
তরুণদের প্রথম ভোটটি হোক ধানের শীষে : টুকু Sep 14, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে বাতিল প্রার্থীতা Sep 14, 2025
img
জেনে নিন, দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 14, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা Sep 14, 2025
img
বাংলাদেশের ম্যাচ হারার ব্যাখ্যা দিলেন লিটন Sep 14, 2025
img
মার্কিন বাজারে বাড়ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি Sep 14, 2025
img
পাবনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ, সড়ক-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা Sep 14, 2025
img
রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল শোধানাগারে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের Sep 14, 2025
img
ইতিহাসে আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা Sep 14, 2025
img
লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী লাখো মানুষের বিক্ষোভ Sep 14, 2025
img
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৪ Sep 14, 2025
img
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে জয় হাতছাড়া, ড্র নিয়ে ফিরল চেলসি Sep 14, 2025
img
দুপুরের মধ্যে খুলনা-চট্টগ্রামসহ ৭ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস Sep 14, 2025
img
সাদাপাথর লুটকাণ্ডে পদ হারানো বিএনপি নেতা র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার Sep 14, 2025
img
প্রয়োজনে আগামীকাল নির্বাচন দিন কিন্তু নতুন সংবিধান লাগবে: হাসানাত Sep 14, 2025
img
ভাঙ্গায় আবারও ৩ দিনের মহাসড়ক অবরোধ ঘোষণা Sep 14, 2025