চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় অভিযান চালিয়েছে সদর মডেল থানার পুলিশ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সন্দেহে ও অনলাইনে জুয়া খেলার দায়ে ৩১ জনকে আটক করা হয়।
রাত ১২টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
পুলিশ জানায়, চাঁদপুর শহরের হাসান আলি মাঠ, মিশন রোড, ছায়াবানী মোড়, সিএনজি স্ট্যান্ড, রেল প্ল্যাটফর্ম অভিযান চালিয়ে কিশোর অপরাধী সন্দেহে ২৬ জন কিশোরকে এবং সিএনজি স্ট্যান্ডে পাঁচজনকে মোবাইলে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক করা হয়।
আটককৃত কিশোররা হলো- মো. ইয়াছিন (১৮), আফনান শেখ (১৫), শাহিব হোসেন (১৮), মো. ফাইয়াস হোসেন জাহিদ (১৭), ফাহাদ মোল্লা (১৮), ইমতিয়াস অলিম নিশাত (১৮), মো. ফারহান গাজী (১৮), মো. সোহেল আহমেদ (১৭), মো. জিহাদ মজুমদার (১৮), লাবিব খান (১৮), মো. আরব আলী (১৭), শফিনুর হক(১৯), মো. শান্ত মিজি (১৯), হাসিব খান (১৭), মো. শান্ত হোসেন (১৫), সজিব হোসেন (১৭), রবিউল (১৮), ফাহিম (১৯), রাফসান রাহিম গাজী (১৫), নাফিজ আহমেদ (১৫), মো. মাসুদ ইসলাম (১৮), মো. মীম ইসলাম (১৮), মো. রকি মিয়া (১৯), মো. গোলাম রাব্বী মিয়া (২০), সৌরভ দে (২০), আসিফ বিব মাহবুব (১৮)।
পাঁচ জুয়াড়ি হলেন- মো. বাদল (৪৫), গাজী মো. মুন্না (৩৫), মো. সবুজ (৪০), মো. নুরুল ইসলাম (৩০), মো. শহিদুল (৪৫)।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৬ জন কিশোরকে কিশোর অপরাধী সন্দেহে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই বাছাই করে প্রকৃত অভিভাবকের নিকট কিশোর অপরাধের বিষয়ে কাউন্সেলিং করে ২৬ জনকে মুচলিকা ও জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পাঁচজনকে মোবাইলে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কোনো শিক্ষার্থী বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর