পদত্যাগ দাবিতে মালয়েশিয়াজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ


অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবার দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে আনোয়ারের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভে দেশটির হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষকে ‌‘পদত্যাগ, পদত্যাগ, আনোয়ারের পদত্যাগ’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় কালো টি-শার্ট পরা হাজারও বিক্ষোভকারী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে কুয়ালালামপুরে দেশটির জাতীয় মসজিদ নেগারার সামনে জড়ো হন।

পরে সেখান থেকে ‘জাগো, জাগো, জনগণ জাগো’ স্লোগানে বিক্ষোভকারীদের কুয়ালালামপুরের স্বাধীনতা স্কয়ারের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। আনোয়ার ইব্রাহীমের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া লোকজনকে স্বাধীনতা স্কয়ারে অবস্থান নেওয়ার কথা রয়েছে।

আনোয়ার ইব্রাহীম গত প্রায় তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদকালে দেশটিতে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে সাধারণ জনগণের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জনরোষ কমাতে গত রোববার দেশের সব প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে নগদ অর্থ সহায়তা ও জ্বালানির দামও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহীম।

দেশটির বিরোধীদলীয় জোট পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) সমর্থিত বৃহস্পতিবারের এই সমাবেশে ক্ল্যাং ভ্যালির বাইরের অঞ্চল থেকেও হাজার হাজার মানুষকে বাসে করে আনা হয়েছে। এতে দেশটির ছোট ছোট কয়েকটি বিরোধী দল ও মালয়-ভিত্তিক বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী অংশ নিয়েছে।

সমাবেশের মূল বক্তাদের মধ্যে ছিলেন দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মাহাথির মোহাম্মদ ও মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। মুহিউদ্দিন পেরিকাতান ন্যাশনালের অন্যতম নেতা এবং তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পার্টি ইসলাম মালয়েশিয়ার (পিএএস) প্রেসিডেন্ট আব্দুল হাদি আওয়াং।

আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও ক্ষোভ তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে—জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি (বিশেষ করে জুলাই মাসে বিক্রয় ও সেবা কর সম্প্রসারণের পর), বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধির হার এবং জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

এআই-ই এখন সিদ্ধান্ত নেবে, চাকরি হারাবে মানুষ: স্যাম অল্টম্যানের সতর্কবার্তা Jul 27, 2025
ইউএস-বাংলাকে ২৭ লাখ ডলার ক্ষ'তি'পূরণ দেওয়ার নির্দেশ নেপালের Jul 27, 2025
থাইল্যান্ডে রাশিয়ার বিএম-২১ রকেট চালিয়ে আ/ঘা'ত হেনেছে কম্বোডিয়া Jul 27, 2025
img
'বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় ডিজিটাল স্কিলস শুধু প্রয়োজন নয়, বরং অপরিহার্য' Jul 27, 2025
চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা বলছেন -মোস্তফা জামাল Jul 27, 2025
টেস্ট কেমন? খেয়ে দেইখা পরে কন টেস্ট কেমন! Jul 27, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে কুমিল্লা-২ আসন থেকে গণ অধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী নাজমুল Jul 27, 2025
img
ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ বাংলাদেশির দাফন সম্পন্ন Jul 27, 2025
img
আমরা আর টাকা পাচারের রাজনীতি দেখতে চাই না: আখতার Jul 27, 2025
img
ছাদ ধসে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা Jul 27, 2025
img
ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের দেড় মাস পর জানলেন নববধূ পুরুষ! Jul 27, 2025
img
আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আন্তরিক ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
দেশে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে: নাহিদ Jul 27, 2025
img
তরুণরাই ডিজিটাল রূপান্তরের প্রধান চালিকাশক্তি : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Jul 27, 2025
img
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ Jul 27, 2025
img
শহীদ পরিবারের সদস্যরা ভিক্ষা চান না, তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান: জামায়াত আমির Jul 27, 2025
img
কিশোরগঞ্জ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে বটে, কিন্তু পায়নি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: নাহিদ ইসলাম Jul 27, 2025
img
বাশার ও রাজ্জাকদের ম্যাচ রেফারি হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি Jul 27, 2025
img
বিমানবন্দর থেকেই আরও ৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া Jul 27, 2025
img
শেষ ওভারে হেনরির দুর্দান্ত বোলিং, ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড Jul 27, 2025