বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর এমিরেটাস ড. এম শমশের আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
শমশের আলীর বড় ছেলে জেহান আলী তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বাদ জোহর ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে জানাজা হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ১৯৪০ সালের ৯ নভেম্বর শমশের আলীর জন্ম। যশোর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং রাজশাহী কলেজ থেকে এইএসসি পাস করে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদার্থবিজ্ঞানে ১৯৫৯ সালে অনার্স এবং ১৯৬০ সালে মাস্টার্স করেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে শমশের আলীর কর্মজীবন শুরু হয়। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান। ১৯৬৫ সালে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে থিওরেটিক্যাল নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে পিএইচডি করে ওই বছর দেশে ফিরে তিনি ঢাকায় আণবিক শক্তি কেন্দ্রে সিনিয়র
১৯৮২ সালে অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন শমশের আলী। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নেন। ২০০২ সালে বেসরকারি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সময়ও তিনি উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক শমশের আলী। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন সদস্য এবং আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন।
শমশের আলীর লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে: ‘পবিত্র কোরআনে বৈজ্ঞানিক ইঙ্গিত’, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলিম অবদান’, ‘আলাদিনস রিয়েল ল্যাম্প: সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’।
পিএ/টিকে