নিজেদের ছাত্রলীগ প্রমাণে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনে অংশ নিতেন শিবির কর্মীরা : আবদুল কাদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনে অংশ নিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা নিজেদের ছাত্রলীগ হিসেবে প্রমাণ করতে চেষ্টারত ছিল—এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের।

রবিবার (৩ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘হলে থাকার কারণে আইডেনটিটি ক্রাইসিস বা আত্মপরিচয়ের সংকট যেন না হয়, সে জন্য শিবিরের অনেক সদস্য ছাত্রলীগের সঙ্গে মিশে নিপীড়নের অংশীদার হতো। ছাত্রলীগের হয়ে উগ্রতায় লিপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই তারা নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করত। এমনকি কারও কারও কর্মকাণ্ড ছিল অতিমাত্রায় উৎসাহী, যেন তারা ছাত্রলীগের 'বিশ্বস্ত' কর্মী হিসেবে বিবেচিত হয়।

আবদুল কাদেরের সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

হলে থাকার কারণে শিবিরের যে ছেলেগুলা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতো, তারা মূলত আইডেনটিটি ক্রাইসিস থেকে উৎরানোর জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতো। সেটা কেবল নিজেকে লীগার প্রমাণের দায় থেকে। লীগ যে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাতো তারা সেগুলার অংশীদার হতো, লীগের কালচার-ই চর্চা করত। আমার এই কথাটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি তো এমন ছিল।

আরেকজন ব্যক্তি আরমান হোসাইন ১৫ জুলাই কেন্দ্রিক তার করা মামলার অভিজ্ঞতা থেকে মন্তব্য করেছেন যে, শিবির থেকে আসা ছাত্রলীগের কয়েকজন ১৫ তারিখের হামলায় জড়িত ছিল। এই দুইটা কমেন্টকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ তিলকে তাল বানিয়ে নিজেরা দায়মুক্তি নেওয়ার কূটচাল চেলেছে। সেটাকে আবার শিবির খুবই নোংরাভাবে প্রচার করেছে, ভিন্নভাবে ফ্রেমিং করার মধ্য দিয়ে। আমি বলেছি, শিবির করে আসা ছেলেরা নিজেকে ছাত্রলীগার প্রমাণ করার জন্য ক্ষেত্রবিশেষ উগ্রবাদী ছিল।

২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে বিজয় একাত্তর হলের শাহরিয়াদ নামে ১৯-২০ সেশনের একজন শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে নেতৃত্বে ছিলেন মাজেদুর রহমান নামে একজন। যিনি আমার পাশের এলাকার। একই মাদরাসায় পড়ার সুবাদে জানতাম, তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ক্যাম্পাসে এসে বনে গেলেন ভয়ংকর নিপীড়ক, নির্যাতক!

ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সর্বশেষ কমিটির দপ্তর সম্পাদক ১৭-১৮ সেশনের মুসাদ্দিক বিল্লাহ, আমার জেলার।

যার পরিবার জামাত, যিনি শিবিরের সাথী ছিলেন; কিন্তু পদপদবির জন্য তিনি হয়ে গেলেন কট্টর ছাত্রলীগ। ইতোপূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও তিনি সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ ভাগিয়ে নেন। তাহলে চিন্তা করেন, তাকে কতটা বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হইছে, কতটা ছাত্রলীগের চরিত্র ধারণ করতে হইছে!

জসীমউদ্দিন হলের ১৬-১৭ সেশনের আফজালুন নাঈম। গেস্টরুমে তার দুর্ব্যবহার, নিপীড়নের জ্বালায় হলের ছেলেরা অতিষ্ঠ ছিল। নাঈমের দুর্ব্যবহারের কথা হলের ছেলেদের মুখে মুখে। অথচ এই নাঈম এখন জামাত শিবিরের আইকন শিশির মুনিরের বিশেষ সহকারী!

মুজিব হলের জুনিয়রদের কাছে এক ত্রাসের নাম ছিল ১৬-১৭ সেশনের ইলিয়াস হোসাইন। সঞ্জিতের রাজনীতি করত ইলিয়াস, হল ক্যান্ডিডেট ছিল।

মিছিল মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফোর্স করতো, গেস্টরুমে অসহ্যকর মেন্টাল টর্চার করতো, ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে এই ইলিয়াস শিবিরের বড় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলো, চলাফেরা করেন এখন শিবিরের ইমামদের সাথে!

২০১৭ সালে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর ভয়াবহ নির্যাতনের মাধ্যমে রক্তাক্ত করে হল ছাড়া করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মুহসীন হলের সাবেক ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল ভুক্তভোগীর মোবাইল চ্যাক করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই অতর্কিত হামলা চালান। এ শাহাদাত আবার শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত ছিল।

চব্বিশ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পরে শাহাদাতকে নিয়ে একজন পোস্ট করেন। পরবর্তীতে ওই পোস্টকারীর সাথে শিবিরের তৎকালীন সভাপতি সাদিক কায়েম যোগাযোগ করেন। শাহাদাৎ ভালো মানুষ, তাকে যেন এসবের সাথে না জড়ায়!

শিবিরের স্ট্র‍্যাটিজির জায়গা থেকে ওরা ছাত্রলীগের বড় পদে নিতো। হল ক্যান্ডিডেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাকে ছাত্রলীগ যে স্টাইলে কার্যক্রম পরিচালনা করে, ঠিক সেই স্টাইল ফলো করা লাগতো৷ শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজটা একিনের সাথে করতেন তারা। উদ্দেশ্য একটাই পদ পাইতেই হবে।

ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে আবার কিছু গুপ্ত শিবির থাকতো। এরা তেলবাজি আর চাটুকারিতায় ছিল অনন্য। এরা সবকিছু আগ বাড়িয়ে আনজাম দিতো। ভাই কখন কোথায় আসবে, কখন ভাইটাল প্রোগ্রাম, সেটার তাগিদ দিয়ে, জোরপূর্বক ছেলেপেলেদের হাজির করার দায়িত্ব নিতো এই প্রকৃতির শিবিররা।

এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা একজন হচ্ছে জহু হলের ২১-২২ সেশনের হাসানুল বান্না, যিনি ৫ আগস্টের পরে শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন। আবার এই বান্না এখন শিবিরের জহু হল শাখার বড় নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

আরেকজন আছেন এমন। এফ রহমান হলের ১৮-১৯ সেশনের রায়হান উদ্দিন। যে ছাত্রলীগের অ্যাকটিভ কর্মী ছিলেন। মেধাবী হওয়ার দরুন হল ক্যান্ডিডেটের বক্তব্যগুলা যিনি নিজে লিখে দিতেন, সারাক্ষণ ক্যান্ডিডেটের আগেপিছে থাকতেন, কাউকে ভিড়তে দিতেন না। এফ রহমানের হলের কুখ্যাত ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজের একনিষ্ঠ অনুসারী এই রায়হান ৫ তারিখের পরে শিবিরের বড় নেতা হিসেবে হাজির হয়েছেন। আগের ফেসবুক আইডি বাদ দিয়ে এখন নতুন আইডি চালান। তবে আগের আইডি এবং তার কৃতকর্ম মুছে ফেলতে পারেন নাই। এখনো আছে।

৫ তারিখের পরে শিবিরের যে সকল ছেলেপেলে ছাত্রলীগের ভেতরে থেকে ছাত্রলীগের মতো আচরণ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে জনাব সাদিক কায়েমের সাথে আমার আলাপ হয়। ৫ তারিখের পরে হলে হলে, ছাত্রলীগের নিপীড়কদের লিস্ট হচ্ছিল। একদিন ফোনে এই বিষয়ে কথা বলার প্রেক্ষিতে সাদিক ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম, একাত্তর হলের হাসান সাঈদী, এফ রহমানের তানভীর হাসান শান্তের মতো শিবিরের যারা লীগের আমলে অপকর্ম করছে, তাদের মামলা দিবেন না? প্রতি-উত্তরে উনি বললেন, ‘তোমরা দাও’।

আমি বললাম, “আমরা আর তোমরা দেওয়ার কি আছে! লিস্ট তো আমরা আপনারা মিলেই করতেছি।” এই বিষয়ে সাদিক ভাইয়ের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়; কিন্তু শেষে আর হাসান সাঈদী কিংবা শান্তদের নাম মামলার তালিকায় উঠলো না!

এই সাঈদি ছিল শিবিরের সাথী। পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে গেছে। এমন কোনো অপকর্ম নাই যে সে করে নাই। ও একাত্তর হলের কুখ্যাত স/ন্ত্রা/সী আবু ইউনুসের রাজনীতি করতো। শিবির সংশ্লিষ্টতার কারণে তারে পোস্ট পদবি দেয়নি দীর্ঘদিন। সে হতাশায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। নিজেকে লীগার প্রমাণ করার জন্য সে আরও উগ্রপন্থা বেচে নিল। একে তো শিবির সংশ্লিষ্টতা, তার ওপর নিজের নাম সাঈদী হওয়ার কারণে পদপদবি পাচ্ছে না, সেজন্য কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে সাঈদ বানিয়েছেন তিনি!

অবশেষে সে হীন কর্মকাণ্ডের মধ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হয়। তারপর সৈকতের রাজনীতি করা শুরু করে, হল ক্যান্ডিডেট ছিল।

চব্বিশ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এই সাঈদীসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুইজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে এসে মুহসীন হলে তিনদিন ধরে আটকে রাখেন। ওই ঘটনায় সাঈদী গ্রেফতার হয়, বহিষ্কৃতও হয় ছাত্রলীগ থেকে। কিন্তু বের হয়ে সে তার অপকর্ম এবং ছাত্রলীগের রাজনীতি চালিয়ে যায়।

জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করে! যার ভিডিও ফুটেজ এখনো আছে। অথচ এই সাঈদী ৫ তারিখের পরে আইনের আওতার বাইরে ছিল, ফেসবুকে শিবিরের গুণগান গাওয়া শুরু করে দিয়েছিল। এরপর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

সাঈদি এফবিএস-এর ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলার পরে তারা এই সাঈদীকে আটক করে। কিন্তু সাঈদীকে আটক করার পরে শিক্ষার্থীদের কাছে শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন দিয়ে তদবির করেন, যেনো সাঈদিকে ছেড়ে দেওয়া হয়!

শিক্ষার্থীরা সাদিক কায়েমের তদবির শুনেন নাই, থানায় নিয়ে আসে সাঈদীকে। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও মামলা নিতে চান না। ওই সময়টাতে শিবিরের আরেক দায়িত্বশীলও নাকি প্রক্টরের সাথেও একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। নিজ এলাকার, নিজ সংগঠনের সাঈদীকে বাঁচানোর জন্য৷ অবশেষে শিক্ষার্থীদের অনমনীয়তার মুখে সাঈদীকে মামলার আওতায় নেয় থানা পুলিশ।

কিন্তু এই সাঈদী সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক সপ্তাহের মাথায় জেল থেকে বের হয়ে আসে! অথচ জুলাইয়ের মামলার আসামীর নাকি জামিন হয় না সহজে! তাহলে চিন্তা করলাম, এদের লিংক লবিং কোন পর্যায়ে!

ছাত্রলীগের ভিতরে ঢুকে ছাত্রলীগের কালচার চর্চা করা এমন গুপ্ত শিবিরের সংখ্যা কিন্তু কম ছিল না। ৫ আগস্টের পরে হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি হয়, শৃঙ্খলা কমিটি হয়, এটা কার প্রেসক্রিপশনে হয়, সেটা প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখলেই বোঝা যায়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীতে সর্বেসর্বা হয়ে উঠে, একপ্রকার ছায়া প্রশাসন হিসেবে হলে ফাংশন করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই আবার ৫ তারিখের পরে ছাত্রলীগের নাম তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়। স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজেদের সাথী ভাইদের তালিকার বাইরে রাখে।

৫ আগস্টের পরে জুলাইয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুইটা মামলা হয়। মাহিম সরকার এবং আরমান হোসেন বাদী হয়ে এই দুইটা মামলা করেন। এই দুই মামলার বাদীর সাথেই শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজন ব্যক্তির ব্যাপারে তদবির করেন। মাহিন এবং আরমানকে একটা তালিকাও দেন, যেন এই ব্যক্তিগুলার নাম মামলা থেকে কেটে দেয়, সেই বিষয়ে সাদিক কায়েম সরাসরি তদবির করেন।

আরমান পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যে নামগুলা দিছেন তারা শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট। এরমধ্যে একজম আসামি আরমানের কাছে স্বীকারও করছেন, তিনি শিবির করেন, তার নাম যেন মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়!

জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায় নাই এই তদবির কাণ্ডের কারণে, সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে।

শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতাকর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করে নাই। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত একযুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি; ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশ হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাতব্বরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!

অনেকেই হয়তো ভয়ের আশঙ্কা দেখাচ্ছেন, সংঘবদ্ধভাবে ওরা মিডিয়ায় চরিত্র হনন করতেছে ক্রমাগত; কিন্তু আমি হার মানার পাত্র না। হাসিনার আমলে গুটিকয়েকজন মানুষ লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছিল। হামলা-মামলা, জেলজুলুম সহ্য করে টিকে গিয়েছিলাম একটা সুন্দর সত্য রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই লড়াই চালিয়ে যাবো।

এমআর/টিকে   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে ভাঙা কাঁধেই ব্যাট করবেন ওকস! Aug 04, 2025
img
মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রুই-কাতলা এখনো ধরা পড়ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Aug 04, 2025
জুলাই সনদে সংস্কার অন্তর্ভুক্তির দাবি, প্রধান উপদেষ্টাকে পাঁচ কমিশনের চিঠি Aug 04, 2025
img
সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ চট্টগ্রামে মারা গেছেন Aug 04, 2025
বিশ্ব হালাল বাজারে বাংলাদেশকে নেতৃত্বে আনতে সরকারের প্রস্তুতি Aug 04, 2025
৪ আগস্ট কি হয়েছিল ফেনীর মহিপালে? Aug 04, 2025
img
দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি Aug 04, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে চীন Aug 04, 2025
img
আইন প্রয়োগে দুর্বলতা বড় চ্যালেঞ্জ, শক্তিশালী হচ্ছে গোয়েন্দা ইউনিট: এনবিআর চেয়ারম্যান Aug 04, 2025
img
বিএনপি এখনও জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পায়নি: সালাহউদ্দিন Aug 04, 2025
img
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এ অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের চিঠি Aug 04, 2025
img
বিএনপি যেকোনো সময়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত : সালাহউদ্দিন Aug 04, 2025
img
ফ্লাইট এক্সপার্টের চেয়ারম্যান-সিইওকে নিয়ে বেরিয়ে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য Aug 04, 2025
img
সাতক্ষীরার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত Aug 04, 2025
img
হাঁপাতে হাঁপাতে কাঠগড়ায় উঠলেন মেনন-ইনু ও পলক, নামলেন লিফটে Aug 04, 2025
img
রাষ্ট্রের সংস্কার ছাড়া অন্য কিছু মানবো না: তাসনিম জারা Aug 04, 2025
img
ঢাকার সাত কলেজে চার স্কুল ব্যবস্থা চালু, ঘোষণা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের Aug 04, 2025
img
পাকিস্তান দল থেকে ছিটকে গেলেন ফখর Aug 04, 2025
img
মুখে কিছু না বললেও ড্রেসিংরুমে ‘ভারতের নেতা’ সিরাজ Aug 04, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আরও ১৫৯৩ Aug 04, 2025