গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রুয়ারিতে ভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর এ সভা হচ্ছে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নবম কমিশন সভা শুরু হয়।
সভায় চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে-
>> রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫।
>> গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
>> বিবিধ।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি আরপিও’র সঙ্গে সমন্বয় রেখে আচরণবিধিমালাও চূড়ান্ত করা হতে পারে।
আরপিও’র সংশোধন প্রস্তাবের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ছোটোখাটো সংস্কারসহ প্রায় তিন ডজন সংশোধন থাকতে পারে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে এ সংশোধনীতে।
এছাড়া আচরণবিাধতে এআই-রিলেটেড অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ যুক্ত করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তাও আরপিওতে যুক্ত করা হতে পারে।
আইনি সংস্কারের প্রস্তাবনা ইসি যখন অনুমোদন দেবে তারপরই সরকারের কাছে পাঠাবে ইসি সচিবালয়।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবন চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
কেএন/এসএন