অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমানের রায়ের জন্য ১৪ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
জামিনে থাকা এ দুই আসামি এদিন আদালতে হাজির হন। পরে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, প্রস্তুতি না থাকায় যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য সময় আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করায় আমরা যুক্তিতর্কের শুনানি করতে পারিনি। আদালত আগামী ১৪ আগস্ট রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন।
যার কোনও বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনোও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।