পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী কারাবন্দি সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল বলেন, বাকলিয়া এক্সেস রোডে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি তামান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন, চান্দগাঁও এলাকায় পরিচিত ‘ছোট সাজ্জাদ’ বা ‘বুড়ির নাতি’ হিসেবে। কারণ বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকায় আগ থেকেই আছে বিদেশে পলাতাক আরেক শীর্ষ সস্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর সম্রাজ্য। আন্ডার ওয়ার্ল্ডে একই নামে দুই সাজ্জাদ হওয়ায় একজন সাজ্জাদ আলী, আরেকজন বুড়ির নাতি সাজ্জাদ নামে পরিচিতি পায়। বুড়ির নাতি সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার ও মোহাম্মদ আনিসকে হত্যার অভিযোগ আছে।
২১ অক্টোবর প্রকাশ্যে চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে গুলি করে হত্যা করে সাজ্জাদ। ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে অক্সিজেন মোড়ে পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
তামান্নার স্বামী শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গত ১৫ মার্চ রাজধানীর একটি অভিজাত শপিং মল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেয় স্ত্রী তামান্না।
সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নিতে ২৯ মার্চ রাতে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে জোড়া খুনসহ কমপক্ষে তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটায় সাজ্জাদের সহযোগীরা। সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাজ্জাদ এক নম্বর এবং তামান্না দুই নম্বর এজাহার নামীয় আসামি। ১০ মে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয় বহদ্দারহাট এলাকা থেকে। সে থেকে তামান্না শারমীন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এসএন