শুল্ক কমার পর থেকেই হিলি স্থলবন্দ দিয়ে বাড়ছে চালের আমদানি। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) একদিনেই আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৯৮ ট্রাকে ৪ হাজার ২২৮ মেট্রিক টন চাল, যা রেকর্ড পরিমাণ বলছেন ব্যবসায়ীরা। আর গত তিন দিনে আমদানি হয়েছে ১১ হাজার মেট্রিক টন।
গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানি হলেও শুল্ক জটিলতায় বন্দরে আটকে থাকে চালগুলো। তবে গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে শুরু হয় চাল খালাসের কার্যক্রম। এরপর থেকেই বন্দরে আসতে থাকেন চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে পাইকারদের সমাগম ঘটে। কথা হয় বগুড়া থেকে চাল কিনতে আসা আকবরের সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হিলি বন্দরে এসেছি চাল কেনার জন্য।
বুধবার (২০ আগস্ট) সম্পা সরু জাতের চাল ৭১ টাকা কেজিতে কিনলেও বৃহস্পতিবার একই জাতের চাল ১ টাকা কমে ৭০ টাকা কেজি দরে ২ ট্রাক চাল কিনেছি। চালগুলো পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করবো।
মিন্টু মিয়া নামে আরেকজন পাইকার বলেন, হিলি স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত চাল আমদানি হচ্ছে। তবে চালের দাম উঠানামা করছে। এতে করে কিছুটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের। আজকে এক দাম কালকে আরেক দাম।
হিলি বন্দরের চাল আমদানিকারক অভিষেক আগারওয়ালা বলেন, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমরা চাল আমদানি শুরু করেছি। প্রথম দিকে অল্প আমদানি হলেও এখন প্রতিদিনই তা বাড়ছে। বন্দরে আমরা যেসব চাল আমদানি করছি, এর মধ্যে শম্পা কাটারি, সর্না, মিনিকেট, রত্নাসহ বিভিন্ন চাল রয়েছে। আমদানি করা চাল বন্দর থেকে বিক্রি করছি। চাহিদা থাকায় প্রতি দিন চালের আমদানি বাড়ছে। বন্দরে কাঙ্ক্ষিত চালের পাইকাররা আসছেন। বর্তমানে আঠাশ জাতের চাল ৫৫ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল ৫২ টাকা এবং জিরা চাতের চাল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতীয় ৩৩২ ট্রাকে ১৪ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।
সব চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে গত ৩ দিনে, ১১ হাজার মেট্রিক টন। এসব চাল খালাস হচ্ছে ২ শতাংশ (এআইটি) শুল্কে।
এমকে/টিএ