স্বাস্থ্যকর ঘুমের খাদ্যাভ্যাস

‌‘ইচ্ছা হলো ঘুমিয়ে গেলাম’, আবার ‘না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম কয়েক দিন’, কিংবা ‘ঘুম হচ্ছে না বলে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাই’, ‘অনেক রাত জাগি, তাই পরদিন উঠতে অনেক দেরি হয়’- এর কোনোটিই স্বাস্থ্যকর নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম হচ্ছে না বলে ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া ঠিক নয়। এছাড়া বাজে খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকের ঘুমে সমস্যা হয়। স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কার্বোহাইড্রেটস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদানের সঙ্গে ঘুম নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখতে পেয়েছেন। বিছানায় যাওয়ার আগে সঠিক খাবার খেলে দ্রুত ঘুম আসবে এবং ঘুম গভীর হবে।

চলুন জেনে নিই ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক খাদ্যাভ্যাস-

ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া
ঘুমের কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া আদর্শ। এতে খাবার ঠিক মতো হজম হয়। ঘুমানোর কাছাকাছি সময় খাবার খাওয়া হলে তা গ্যাসের সৃষ্টি করে। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

শরীরের তাপমাত্রা কমানো
যেসব খাবার শরীরে তাপ সৃষ্টি না করে বরং শরীর ঠাণ্ডা করে সেসব খাবার– তাজা সবজি, ফল, দুধ গ্রহণ করা ভালো। এসব খাবার খাওয়া হলে শরীরে বেশি মেলাটোনিন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন অনিদ্রা দূর করে।

ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা
দিনের শেষ চা বা কফি বেলা চারটার মধ্যে পান করার চেষ্টা করতে হবে। ধারণা করা হয়, রাতে ঘুম কম হওয়ার পেছনে ক্যাফেইনের ভূমিকা অনেক।

এছাড়াও শক্তি বর্ধক পানীয় এবং অন্যান্য ওষুধের কারণে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। যদি কোনো ধরনের পানীয় খাওয়ার ইচ্ছা হয় তাহলে ক্যামোমাইল বা ল্যাভেন্ডার চা পান করা যেতে পারে।

সঠিক নাস্তা
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে হলে এমন নাস্তা নির্বাচন করুন যা ঘুম সহায়ক। স্বাস্থ্যকর ও ঘুমে সহায়তা করে এমন খাবার – চেরি, কাঠবাদাম, আখরোট, কিউই, হলুদ মেশানো এক গ্লাস দুধ, কলা ও ওটমিল এক্ষেত্রে কার্যকর।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দলগুলো ঐকমত্যে আসতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: হাসনাত Oct 31, 2025
img
জবি ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের পদত্যাগ, পরে ডিলিট করলেন পোস্ট Oct 31, 2025
img
যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা লুটপাট দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন করেছে : এ্যানি Oct 31, 2025
img
১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ যাচাইয়ে ডিএনসিসির কমিটি গঠন Oct 31, 2025
img
জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত আফগানিস্তানের Oct 31, 2025
img
খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক পর্যটকের Oct 31, 2025
img
সিলেটের জালাল আহমেদ ও যীশুসহ ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা Oct 31, 2025
img
তেল আবিবের সমুদ্র সৈকতে নেতানিয়াহুর ব্যঙ্গচিত্র Oct 31, 2025
img
প্রিন্স উপাধি হারালেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হবে রাজকীয় প্রাসাদ Oct 31, 2025
img
শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল Oct 31, 2025
img
শাপলার কলি দ্রতই শাপলা হয়ে ফুটবে : সারোয়ার তুষার Oct 31, 2025
img
ম্যাচ চলাকালীন স্ট্রেচারে মাঠ ছেড়েছে সোহান Oct 31, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং দাপটে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ Oct 31, 2025
img
নিজের সব ছবি-পোস্ট মুছে আলোচনায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী Oct 31, 2025
img
ফ্যাসিবাদবিরোধী আসিফ মাহমুদও এখন ফ্যাসিস্ট-লুটপাটকারী : তারেক রহমান Oct 31, 2025
img
নারী বিশ্বকাপের ফাইনালের আম্পায়ারদের নাম প্রকাশ Oct 31, 2025
img
ডিসি-এসপি ভাগাভাগি চলছে: হাসনাত Oct 31, 2025
img
ভূতের লুকে ছেলেকে নিয়ে চমক দিলেন অভিনেত্রী শাবনূর Oct 31, 2025
img
দেশে ক্ষমতা যার হাতে থাকে, তাকেই মানুষ তোয়াজ করে : রনি Oct 31, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম Oct 31, 2025