অভিজ্ঞতা না থাকায় মেগা প্রকল্পে অর্থের অপব্যবহার হবে: অর্থমন্ত্রী

অভিজ্ঞতা না থাকায় মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের অপব্যবহার হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তেরিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে পদ্মা সেতু করব, কর্ণফুলী টানেল করব বা আমরা এমআরটি (মেট্রোরেল) প্রজেক্ট করব -এগুলো তো স্বপ্ন। এগুলো বাস্তবায়নে কারও বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল না। সুতরাং এখানে ডিসটরশন (নড়চড়) হবে এবং মিস ইউজও (অপব্যবহার) হবে, এটাকে ধরে নিতে হবে। এটা ইন্দোনেশিয়ায় হয়েছে, মালয়েশিয়ায় হয়েছে, অন্যান্য দেশেও হয়েছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, কীভাবে কমানো যায়, সীমার বাইরে না যায়। প্রধানমন্ত্রীও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে এটা সীমার মধ্যে থাকে। এতেই আমরা খুশি। আস্তে আস্তে আমরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব, তখন এগুলো কমে আসবে। যতদিন যাবে ততই অভিজ্ঞতা বাড়বে, বেশি কন্ট্রাক্টর হবে। যেখানেই আমাদের সংশয় পারব না, তখন আমরা বিদেশি কন্ট্রাক্টর নিয়ে নিচ্ছি। আমরা জাপানকে দিয়ে, জাইকাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছি, বড় বড় চাইনিজ কোম্পানিকে দিয়ে কাজ করাচ্ছি।

‘দুর্নীতি না হলে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত’ প্রধানমন্ত্রীর এ তথ্যের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এবং কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেখেছেন, তার সহযোগী হিসেবে আমিও একইভাবে দেখছি। উনি যা বলেছেন, সত্য বলেছেন। এটা স্বীকার করতে হবে।’

তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিনিয়োগ আমরা করছি, শতভাগ মানসম্পন্নভাবে করতে পারি না। সেখানে আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। কিছুটা প্রবৃদ্ধি আমাদের ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে আমরা ৫ বছর পরে যেতাম, সেখানে আমরা এখন তিন বছরে যেতে পারব।

রোহিঙ্গা ইস্যুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বাস করে, রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে চলে যাওয়া দরকার। এ ব্যাপারে তারা ভূমিকা রাখবে। সারাবিশ্বকে একসঙ্গে করে আমরা যেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারি, সেই বিষয়টি তিনি দেখবেন।

 

টাইমস/এএইচ/এইচইউ

Share this news on: