মোস্তফা ফিরোজ

এ ধরনের হস্তক্ষেপ সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে গতকাল ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানসহ অনেকেই।

তবে সভার সময় একটি দল, যারা নিজেদের ‘জুলাইযোদ্ধা’ বলে পরিচয় দিয়েছে, অংশগ্রহণকারীদের অবরুদ্ধ করে এবং আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। তারা অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ নিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ এক ফেসবুক ভিডিওতে মন্তব্য করেছেন, ‘সভা-সমাবেশে হামলার ঘটনায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এইভাবে যদি হস্তক্ষেপ করা হয় এটা নিঃসন্দেহে ইউনূস সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে এবং এই ব্যাপারে বিএনপির একটা মানে অবস্থান থাকা উচিত। বাংলাদেশের যখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের অধিকার নিয়ে আলোচনা হবে, তখন এর জবাবটা সরকার কী দেবে আমি সেটা ভাবছি। এখন ওই যে ট্যাগ লাগানো হচ্ছে যে এরা হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর।

এই কথা বলা মানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্ল্যাটফরমও কোনো সমাবেশ করতে পারবে না।’

আলোচনার প্রথম বক্তা অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে এবং সংবিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।’

শেখ হাফিজুরের বক্তব্য শেষ হতেই ‘জুলাইযোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল লোক ব্যানার হাতে নিয়ে প্রবেশ করেন।

তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগান দিতে থাকে এবং গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে অংশগ্রহণকারীদের অবরুদ্ধ করেন।

সাবেক এমপি লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জানতাম না এখানে কোনো সমস্যা হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু দাওয়াত পেয়ে এখানে এসেছিলাম।’

নিজেকে ‘জুলাইযোদ্ধা’ পরিচয় দেওয়া একজন জানান, ‘এখানে পতিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্র করছে।

জুলাইযোদ্ধারা বেঁচে থাকতে এমন কিছু আমরা মেনে নেব না।’

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৭ জেলায় বজ্রপাতসহ ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা Nov 04, 2025
img
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আবারও উত্তাল সার্বিয়া Nov 04, 2025
img
নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ : জরিপে এগিয়ে থাকা মামদানিকে রুখতে কুওমোকে ট্রাম্পের সমর্থন Nov 04, 2025
img
নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 04, 2025
img
বাড়ছে নারী ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা Nov 04, 2025
img
এনসিপি নেতাদের এলাকায় বিএনপির প্রার্থী যারা Nov 04, 2025
img
এবার আফগানিস্তানের দায়িত্ব ছাড়ছেন জোনাথন ট্রট Nov 04, 2025
img
পুতিন ও শি জিনপিং দুজনকেই সামলানো কঠিন : ট্রাম্প Nov 04, 2025
img
ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করেছে ১২ প্রতিষ্ঠান Nov 04, 2025
img
সাতক্ষীরায় প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ Nov 04, 2025
img

২০২৫-২৬ অর্থবছর

৪ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় বাড়ল ১.৪০ শতাংশ Nov 04, 2025
img
জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে, অধ্যাদেশ জারি Nov 04, 2025
img
শরীয়তপুর ৩টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা Nov 04, 2025
img
বিএনপি একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়তে চায় : কফিল উদ্দিন Nov 04, 2025
img
মৌলভীবাজার ৪টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী যারা Nov 04, 2025
img
হালান্ডকে মেসি-রোনালদো পর্যায়ের দাবি গার্দিওলার Nov 04, 2025
img
আজকের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম Nov 04, 2025
img
৩ বছর পর আবার হলুদ জার্সিতে ফাবিনিয়ো, নতুন মুখ একজন Nov 04, 2025
img
আবারও নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা Nov 04, 2025
img
বাগেরহাট জেলার কোনো আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি Nov 04, 2025