‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’ স্লোগানে শুরু হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী `ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা'।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এই মেলায় পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির (ফাইভজি) বিভিন্ন দিকসহ দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরা হবে।
তিন দিনব্যাপী মেলার প্রথম দিনের প্রথম পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হবে। মেলায় সরকারের মন্ত্রীরা ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন প্রমুখ।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স বিগডেটা, ব্লকচেইন এবং ফাইভ জির বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শন করা হবে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি সেখানে প্রদর্শন করা হবে।
জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া ও এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রদর্শন করবে মেলায়; বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখাবে। ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ (আইএসপি) ৮২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলা চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
www.digitalbangladeshmela.org.bd ওয়েব লিংকে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে মেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশমুখেও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা থাকবে।
টাইমস/এইচইউ