তরুণ বয়সে হাড়ের সুস্থতা নিয়ে ভাবতে হবে না; এমন ভাবনা ভুল। এক সময় হাড়ের দুর্বলতা বার্ধক্যের লক্ষণ হিসেবে ধরা হতো। তবে বুড়ো বয়সেই শুধু হাড়ের সমস্যা হবে সেটা ভাবার দিন শেষ। টানা অনেকক্ষণ কাজ করলে, বেশির ভাগ সময় বসে থাকলে এবং উপযুক্ত খাবার না খেলে হাড় দুর্বল হতে থাকে। এক্ষেত্রে বয়স যাইহোক, তাতে কিছু আসে যায় না।
চলুন কিছু লক্ষণ জেনে নিই, যা আপনার হাড়ের দুর্বলতা প্রকাশ করে-
ভঙ্গুর নখ
আপনার নখের দিকে নজর দিন। সেগুলি কি কিছুদিন ধরে ঘন ঘন ভেঙে যাচ্ছে? নখ দুর্বল হলে বুঝতে হবে শরীরে ক্যালসিয়াম স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। হাড় সুস্থ ও ক্রিয়াশীল রাখতে ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয় উপাদান। দুগ্ধজাত খাদ্য ও শাকসবজি থেকে আপনি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকেন। হয়ত আপনি যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছেন না। এখন সময় এই অভ্যাস পরিবর্তন করার।
দুর্বল মুষ্টি
আপনার কি বোতলের ছিপি খুলতে সমস্যা হচ্ছে? যাইহোক, এটা হবার কথা নয়। মুষ্টির জোর কমে যাওয়া মানে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া বোঝায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুষ্টির সক্ষমতার সঙ্গে কোমর, মেরুদণ্ড ও বাহুর অস্থির ঘনত্বের সম্পর্ক আছে। তাই মুষ্টির শক্তি কমে গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। তিনি আপনাকে কিছু ব্যায়ামের দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।
এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়া
এটা তাদের জন্য যেসব নারী ঋতুস্রাবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়টায় দেহের এস্ট্রোজেন উৎপাদন কমে যায়। ফলাফল স্বরূপ, হাড়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। কিন্তু দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বললে তিনি হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। এছাড়াও, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে সুস্থ ও সবল হাড় গঠন করা সম্ভব।
হঠাৎ ফাটল
চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর মতো খুব সাধারণ কিছু করতে গিয়ে কি হাড় ভেঙে গেছে বা তাতে ফাটল ধরেছে? হাড় ভাঙা বা হাড়ে ফাটল দুর্বল হাড়ের অন্যতম লক্ষণ। বিশেষ করে অতি সামান্য কিছু করতে গিয়েই যদি আপনার পা ভেঙে যায়। এমনকি এটা অস্টিওপরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তাই এমন কিছু ঘটলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
খাটো হতে থাকা
ডাক্তারদের মতে খাটো হওয়া একটি বাস্তব ঘটনা। যখন হাড়ের ভর কমে যায় তখন এটি ঘটতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এটি একটি সাধারণ ঘটনা, যাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গবেষণায় দেখা গেছে যে “৪০ বছর বয়সের পর প্রতি দশকে এক ইঞ্চির তিন ভাগের এক ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ উচ্চতা কমতে পারে।”
তবে হঠাৎ করে দ্রুত উচ্চতা কমে যেতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান টাইমস
টাইমস/এনজে/জিএস