করোনা নিয়ে ডা. দেবি শেঠির পরামর্শ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হয়ে ভাইরাসটি এখন ১৮০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ। তিন মাস ধরে ভাইরাসটি বিশ্ব কাপিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেনি গবেষকরা। যে কারণে সচেতনতা ও সুরক্ষামুলক পদ্ধতি অবলম্বন ছাড়া এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার আপাতত কোন উপায় নেই।

আর তাই, বিশ্বের বিভিন্ন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মানুষের প্রাণ রক্ষার্থে নানা ধরণের পরামর্শ দিয়েছেন। তেমনি ভারতের বিশ^খ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি করোনাভাইরাস বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

ডা. দেবি শেঠির সেই পরামর্শের একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানায়- ডা. দেবি শেঠি বলেছেন, আমার এ বার্তাটি শুধু ভারত ও সংলগ্ন এলাকার জন্য। কারণ এ অঞ্চলে করোনাভাইরাস সমস্যাটার ধরণ অন্যরকমের। জনবহুল এ অঞ্চলে অন্তত ১৬০ কোটি মানুষের বসবাস। কাজেই ঝুঁকি বেশি।

ডা. দেবি শেঠি বলেন, যদি কারও ফ্লু বা সর্দি থাকে, তাহলে প্রথমে নিজেকে আইসোলেট (অন্যদের থেকে পৃথক) রেখে লক্ষণগুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন। এ অবস্থায় যদি আপনার-

১. প্রথমদিন শুধু ক্লান্তি আসে,
২. তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হয়, সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা দেখা দেয়,
৩. পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথাব্যথার সঙ্গে পেটের সমস্যা হতে পারে,
৪. ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথা যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে যাবে।
৫. অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। তবে বুঝতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আপনার করোনাভাইরাসের আশঙ্কা বা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাতকারে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ডা. শেঠি বলেন, যে লক্ষণগুলোর কথা বলা হয়েছে, এসব থাকলে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ এসব উপসর্গের উপস্থিতিতে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। তবে যদি অষ্টম বা নবম দিনে কারো শরীর আরও খারাপ হয়, তাহলে তাকে করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে।

ডা. দেবি শেঠি আরও বলেন, জ¦র দুই-তিনদিন থাকলে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এতে সমস্যা বাড়বে ছাড়া কমবে না। তবে সবার আগে প্রয়োজন সকলের সচেতনতা।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জনগণ এখন শাসন ব্যবস্থারও পরিবর্তন চায় : গোলাম পরওয়ার Dec 09, 2025
img
স্কুল লেভেলে কয়েকটি ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে : তারেক রহমান Dec 09, 2025
img
অসুস্থতা কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রেম চোপড়া Dec 09, 2025
img
বিএনপির মিশন ৩০ এর অন্যতম রূপকার মাহবুব উল্লাহ : মির্জা ফখরুল Dec 09, 2025
img
মহেশ ভাট বিতর্কে এবার মুখ খুললেন পূজা ভাট Dec 09, 2025
img
দশ বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী Dec 09, 2025
img
দেশে সংস্কার ততটুকুই হবে, যতটুকু আমলাতন্ত্র চায় : ইফতেখারুজ্জামান Dec 09, 2025
img
কাঁচ ঘেরা ভবন নির্মাণে নীতিমালা দেবে রাজউক Dec 09, 2025
img
সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের আয়কর নথি জব্দ Dec 09, 2025
img
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় ১০০ কোরআন খতম Dec 09, 2025
img
পডকাস্টে ব্যক্তিজীবনের নতুন অধ্যায়ের কথা বললেন রিয়া Dec 09, 2025
img
টেলএন্ডারে নেমে মাত্র ৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড Dec 09, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিহত ২০ Dec 09, 2025
img
মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ের ঘটনায় মামলা, বাদীর মন্তব্য Dec 09, 2025
img
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনা চৌকিতে হামলা, নিহত ৬ সেনা Dec 09, 2025
img
যুগের সঙ্গে বদলাচ্ছেন শাকিব খান: দর্শনা বণিক Dec 09, 2025
img
নির্বাচন কমিশন জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে স্পষ্ট প্রতারণা করেছে: সারজিস আলম Dec 09, 2025
img
তফসিলের আগে দলগুলো মারামারি করলে ইসির দায়িত্ব নেই : আব্দুল রহমানেল মাছউদ Dec 09, 2025
img
আইজিপিকে অপসারণের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ Dec 09, 2025
img
কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না : সোহিনী সরকার Dec 09, 2025