কম বয়সীরাও করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

নোভেল করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন উৎস থেকে নানা বার্তা প্রচারিত হয়েছে। এসব বার্তার মধ্যে একটি হলো- কম বয়সীরা সহজেই কোভিড-১৯ রোগটি প্রতিরোধ করতে পারবে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে- বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা নেয়া বেশিরভাগ রোগীর বয়স ৫০ বছরের কম।

সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, আপনি যদি অবিলম্বে সামাজিকীকরণ বন্ধ না করেন, তবে আপনার এবং পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পরতে পারে। তারপরও পরিস্থিতির গভীরতা অনেকেই অনুধাবন করতে পারছেন না।

সংগঠনের মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াস একটি ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ের সময় বলেন- ‌‌“লোকেরা যা বিশ্বাস করে বাস্তবতা তার বিপরীতে, অল্প বয়স্ক লোকেরা ‘অজেয় নয়’। আপনি নিজে অসুস্থ না হলেও মনে রাখতে হবে, আপনি যেখানে যাচ্ছেন তা অন্য কারো জন্য জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।”

ডব্লিউএইচও বলেছে যে, বয়স্ক ব্যক্তি ও অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন, তবে কম বয়সী ব্যক্তিরাও এই সংক্রমণটি বহন করতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত কম বয়সী রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজন ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ডব্লিউএইচও’র সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রুস আইলওয়ার্ড জানিয়েছেন যে, ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট মারাত্মক হুমকির বিষয়ে তরুণদের উদাসীনতা নিয়ে তারা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন- “এটি এমন একটি ব্যাপার, যা আমাকে এখন ভীত করে তুলছে, এটি পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়েছে, লাখ লাখ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি না কেন কিছু স্বাস্থ্যবান তরুণ ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনকি মারা যাচ্ছেন, আবার অনেকের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।”

তার ব্রিফিংয়ে, ঘেব্রেয়িসাস তরুণদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, ভাইরাসটি তাদেরকে কয়েক সপ্তাহের হাসপাতালে আটকে রাখতে পারে, এমনকি তাদের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

তিনি বলেন- “আমি কৃতজ্ঞ যে বেশি সংখ্যক তরুণ ভাইরাসটি ছড়িয়ে না দিয়ে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যেমনটা আমি বলতে থাকি, সংহতিই কোভিড-১৯ কে পরাস্ত করার মূল চাবিকাঠি, দেশগুলির মধ্যকার সংহতি এবং বিভিন্ন বয়সের লোকেদের মধ্যে সংহতি।” তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাইবার বুলিংয়ের শিকার সংগীতশিল্পী চিন্ময়ী শ্রীপদা Dec 13, 2025
img
নোয়াখালীতে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন Dec 13, 2025
img
ধানের শীষ ছাড়া এই দেশকে বাঁচানোর উপায় নেই : আবুল কালাম Dec 13, 2025
img
দুই যুগ পর এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা Dec 13, 2025
img
শান্তিতে নোবেলজয়ী নারীকে গ্রেপ্তার করল ইরান Dec 13, 2025
img
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন ট্রাম্প Dec 13, 2025
img
স্ক্রিপ্ট জেনে তারপরই সিদ্ধান্ত- ‘ট্রাইব্যুনাল’ প্রসঙ্গে মৌসুমী হামিদ Dec 13, 2025
img
জুবিন গার্গের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়, ৩৫০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট Dec 13, 2025
img
নীলফামারী হানাদারমুক্ত দিবস আজ Dec 13, 2025
img
ধর্ম ও জাতপাত নিয়ে পিছিয়ে পড়ছি: সোমলতা Dec 13, 2025
img
গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস ও আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ Dec 13, 2025
img
শুটিং সফরে অরিজিতকে চিনতেই পারলেন না মিমি Dec 13, 2025
img
হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ জিএম কাদেরের Dec 13, 2025
img
সম্পর্ক মানে বিচার নয়, শান্তির আশ্রয়: পরমব্রত চ্যাটার্জি Dec 13, 2025
img
লিভারপুল স্কোয়াডে সালাহ, ‘শেষ ম্যাচ’ খেলার অপেক্ষা Dec 13, 2025
img
নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের Dec 13, 2025
img
সকালে ১৬ ডিগ্রিতে নেমেছে ঢাকার তাপমাত্রা Dec 13, 2025
img
দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে : নুর Dec 13, 2025
img
তারেক রহমান ‘নিজে’ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন : আমীর খসরু Dec 13, 2025
img
সাফল্যের বিচার সময়ই করে: শাশ্বত চ্যাটার্জি Dec 13, 2025