মৌসুম বদলের এই সময় কেন প্রতি রাতে হলদি-দুধ পান করা উচিত?

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে হলদি-দুধ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মৌসুম পরিবর্তনের এই সময়টাতে অনেকেই জ্বর জ্বর ভাব অনুভব করেন।তাছাড়াও সর্দি-কাশি ও ফ্লুয়ের মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে হলদি-দুধ হতে পারে সমাধান।

এই পানীয়টি আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং দ্রুত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সহায়তায় করবে। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যদিকে দুধ হলো- সুষম খাদ্য বা আদর্শ খাদ্য। এই দুটি উপাদানের সমন্বয় অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।

কিভাবে বানাবেন?
হলদি দুধ বানানো খুব সহজ। পরিমাণ মতো দুধ গরম করে তাতে কাঁচা হলুদ বাটা বা কুচি ছেড়ে দিন। চাইলে গুড়ো হলুদ ও গুড়ো দুধ ব্যবহার করতে পারেন, তবে খাঁটি দুধ ও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করাই সর্বোত্তম।

প্রতি রাতে হলদি-দুধ পান করলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়?
হলদি-দুধ স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে পারে বা দেহের ক্লান্তি ও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

রাতের ঘুম ভালো করে
যারা রাতে ঘুমাতে পারেন না রাতে, তারা শুতে যাবার আগে এক কাপ হলদি-দুধ খাওয়ার অভ্যাস করলে সেটি তাদের জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ হলদি-দুধ আপনাকে শান্তিতে ঘুমাতে সহায়তা করবে। যারা বারবার প্রস্রাবের কারণে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না, এটি তাদের জন্যও কার্যকর।

হরমোনের ভারসাম্য আনে এবং ব্রণ ও মাসিকের সমস্যা দূর করে
প্রতি রাতে হলদি-দুধ পান করলে তা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে। ফলে ব্রণ এবং নারীদের অনিয়মিত মাসিকের প্রতিকার হিসেবেও এটি সহায়ক হতে পারে।

প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে
হলদি-দুধ প্রদাহ এবং জয়েন্ট ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কারক্যুমিন দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, ক্যান্সার, বিপাক সিনড্রোম, আলঝাইমার, হৃদরোগসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলি উপশমে এটি বড় ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়। একইসঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ সমৃদ্ধ ডায়েট দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি হ্রাস করতেও সক্ষম।

স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদে থাকা কার্ক্যুমিন মস্তিষ্কের নিউরোট্রাফিক ফ্যাক্টর (বিডিএনএফ) এর মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিডিএনএফ এমন একটি যৌগ, যা আপনার মস্তিষ্ককে নতুন সংযোগ তৈরি করতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলির বিকাশকে উন্নত করে।

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে
ভারতবর্ষে হলদি-দুধ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে, হলুদ পানীয়টি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য কাশি, সর্দি এবং ফ্লু থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ও এনডিটিভি

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: